অবশেষে অনুশীলনে ফিরলেন দেশের ৯ ক্রিকেটার

ছবি: সংগৃহিত

খুলে গেল স্টেডিয়ামের বন্ধ দুয়ার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে। তারই অংশ হিসেবে অনুশীলনে ফিরলেন দেশের ৯ ক্রিকেটার।

রবিবার (১৯ জুলাই) থেকে দেশের চারটি স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু হয়। ক্রিকেটারদের আগমনে মুখর হয়ে উঠে দেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলো। বিশেষ করে চার বিভাগীয় শহরের চারটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সীমিত পরিসরে ক্রিকেটারদের অনুশীলন করার জন্য আজ খুলে দেয়া হয়েছে। চার শহরে মোট ৯ জন ক্রিকেটার অনুশীলন করলেন প্রথম দিন।

মার্চে সর্বশেষ ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড চলেছিল। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর বন্ধ করে দেয়া হয় সেই কার্যক্রম। গত বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় ছিল ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার বিষয়টি। অবশেষে যথাযত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। সে হিসেব আজ সকাল থেকেই অনুশীলন শুরু হয় ক্রিকেটারদের।

তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিসিবি কিছু নিয়ম করে দেয় এ ক্ষেত্রে। সেটা হলো, একই সময়ে একজন মাত্র ক্রিকেটার অনুশীলন করতে পারবে একটি গ্রাউন্ডে। সাথে থাকবেন একজন ট্রেনার। তিনিও পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখে অনুশীলন করাবেন।

বিসিবির কোনো গ্রাউন্ডসম্যান, কোনো স্টাফ কিংবা কর্মকর্তা ওই সময় মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না। মিডিয়াকে তো আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু বলা হয়েছে, ফটো সাংবাদিকরা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ছবি তুলতে পারবেন এবং টিভির ক্যামেরাম্যানরা দূর থেকে ফুটেজ নিতে পারবেন।

দ্বিতীয় ক্রিকেটার তখনই মাঠে নামতে পারবেন, প্রথম যখন উঠে যাবেন। এ হিসেবে আজ মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে আসেন মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম এবং ইমরুল কায়েস। এই চারজন অনুশীলন করেন ঢাকায়।

সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান সংলগ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন পেসার খালেদ আহমেদ এবং বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান এবং অফ স্পিনার মেহেদী হাসান। যদিও চট্টগ্রামে অনুশীলন করার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে মাঠেই নামতে পারেননি স্পিনার নাঈম হাসান।

অনুশীলন শুরুর আগে বিসিবি স্বাস্থবিধির সবগুলো ধাপই অনুসরণ করে ক্রিকেটারদের মাঠে নামার সুযোগ দিয়েছে। খেলোয়াড় এবং ট্রেইনারের শরীরের তাপমাত্রা মেপে, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করে, পুরো শরীরে জীবানুনাশক স্পে করে এরপর মাঠে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: আরব আমিরাতেই বসতে চলেছে আইপিএলের ত্রয়োদশ আসর

মিরপুর শেরে বাংলার ইনডোরে যখন মুশফিকুর রহীম এবং মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছিলেন, তখন তাদের সামনে কোনো বোলার নয়, বল ছুড়ে মারা হয়েছে মেশিন থেকে। তারা কেউই হাত দিয়ে বল স্পর্শ করেননি। একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সবগুলো বল কুড়িয়ে এনে দিয়েছেন বোলিং মেশিনে।

বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান গণমাধ্যমকে জানান, তারা গত মে মাস থেকেই ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার অনুরোধ পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু করোনার প্রকোপ দিনে দিনে বাড়ার কারণে, তারা খেলোয়াড়দের অনুৎসাহিত করেছে, আউটসাইডড অনুশীলনের ব্যাপারে। আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ঈদ-উল ফিতরের আগেই, তথা মে মাস থেকেই অনুরোধ পাচ্ছিলাম, অনুশীলনের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে। কিন্তু আমরা নিরুৎসাহিত করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *