খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অভিযোগ অনিয়ম ও দুর্নীতির।

যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (০৬ মে ) বাগআঁচড়া ইউনিয়নে ডিলার আনোয়ার হোসেনের বিতারন করেন, তবিবর রহমান দফাদার, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে নিজের ইচ্ছেমতো ক্রেতাদের ১৫ টাকা কেজি দরের চাউল  ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৮   কেজি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ডিলার যেমন চাল কম দিয়ে চুরি করছে তেমনি প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন হতদরিদ্রদের কষ্টঅর্জিত অর্থ,ট্যাগ অফিসারের অনুপুস্থিতিতেই চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এতে কালো বাজারে চাল বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন ডিলাররা।

 সরকারের এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য মহৎ হলেও এইসব দুর্নীতিবাজ ডিলারদের কারণে তা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগ চালের ডিলার অনিয়মকে যেন নিয়মে পরিণত করেছে।

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে গরিবের পেটে লাথি মেরে কালো বাজারে চাল বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এইসব ডিলাররা। অথচ যাদের জন্য এ কর্মসূচি, তারাও উপকার পাচ্ছে না। কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী রিক্সা চালক বারেক হোসেন জানান, ৪৫০ টাকার বিনিময়ে আমি  ২৯ কেজি চাল পেয়েছি।

 সামটা গ্রামের সশিনুর খাতুন জানান, ডিলার আনোয়ার হোসেন ৩০ কেজি চালের জন্য আমার থেকে ৪৫০ টাকা নিয়েছে অথচ চাল পেয়েছি ২৯ কেজি। ডিলার এভাবেই দুর্নীতি করতেছে যেন দেখার কেউ নেই। এ সময় ডিলারের পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার তবিবর রহমান কে চাল কম দেয়ার বিষয় বললে তিনি তা স্বীকার করেন।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সালমা বেগম বলেন, ডিলাররা ট্যাগ অফিসার কে না জানিয়ে চাল বিক্রয় করতে পারে না। যে সকল ডিলার বা প্রতিনিধি মাপে কম দিয়ে চাল বিক্রয় করেছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *