ঘূর্নিঝড় আম্পানে মোংলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মোংলায় রাতভোর প্রচুর ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আম্পানের আঘাতে  মোংলার পশুর নদীতে একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবে গেছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত হয়েছে চিংড়ি ঘেরও। তবে ঝড়ে এখানে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবারও মোংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলবৎ রয়েছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার এ এলাকার উপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান বলেন, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া লোকজনের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালেও খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার দিনে এবং রাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয় ৪৮ হাজার মানুষকে। ঝড় কিছুটা কমে যাওয়ায় তারা এখন নিজ বাড়িঘরে চলে যাচ্ছেন। তবে ঝড়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের তালিকা পাওয়ার পর জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

বন্দরের পশুর চ্যানেলের তীরবর্তী কানাইনগর, কলাতলা, সুন্দরতলাসহ বিভিন্ন জায়গার দুর্বল বেড়িবাঁধের কয়েকটি জায়গা ধ্বসে গেছে।

তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের নদ-নদীর পানির উচ্চতা অনেকটা স্বাভাবিকই ছিল। ফলে মোংলাসহ আশপাশ এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

যদিও বেড়িবাঁধ ভেঙে কিংবা উপচে জোয়ারের যে পানি বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল তা আবার ভাটার সময়ে নেমে গেছে।

এদিকে আম্পানের তাণ্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন, লাউডোব, দুবলা ও মরাপশুর ক্যাম্পের জেটি, ঘরবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন। তবে এতে কোনো জেলে নৌকা ডুবি, জেলে নিখোঁজ কিংবা হতাহতের খবর নেই বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *