চিতলমারীতে কচুরিপনার শিরোনামে খবর প্রকাশের জেরে: উপজেলা প্রশাসনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন।

বাগেরহাটের চিতলমারীতে খালের কচুরিপনার  কারণে হাজার হাজার হেক্টর  ধান আনতে পারছে না কৃষক শিরোনামে খবর প্রকাশে জের ধরে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট  প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় তিনি দুর্ভোগে থাকা চাষীদের সাথে কথা বলেন।এরপর তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডে স্লুইসগেট কেন্দ্রীক বাঁশতলা আমতলা খালের প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন। তিনি অতিদ্রুত খালের কচুরিপনা অপসারণ করে কৃষকরা যাতে নৌকায় করে ধান বাড়িতে আনতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য স্হানীয় ইউ’পি সদস্য মোস্তফা তালুকদারকে নির্দেশ দেন। প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালসহ ১৪টি খালের কচুরিপনা অপসারণসহ পানির গতিপ্রবাহ ঠিক রাখার জন্য যে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে তার ব্যবস্থা অতিদ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন।

স্থানীয় ইউ’পি সদস্য মোস্তফা তালুকদার জানান, ইউএনও স্যারে আশ্বাস পেয়ে লোকবল নিয়ে বাঁশতলা খালের কচুরিপনা অপসারণ করা হয়েছে।

এদিকে চিতলমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল জানান, মর্নিংনিউজ এর খবরের মাধ্যমে জানতে পেরে  দুর্ভোগে থাকা কৃষকদের কাছে গিয়ে সকল কথা শুনে দ্রুত কচুরিপনা অপসারণে উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষকরা পাকা ধান কেটে বিল বা মাঠ হতে খুব সহজে বাড়ি আনতে পারছে। এমন জনকল্যাণ মূলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক এবং  তাদের মিডিয়া কর্তৃকপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সিফাত আল মারুফ জানান,পত্রিকা সংবাদ পেয়ে ইউএনও স্যারসহ অন্য অন্য কর্মকর্তাদের সাথে  নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইউ’পি চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন জানান, আমার ইউনিয়নে কৃষকদের দুর্ভোগে কথা শুনে দ্রুত ইউএনও তাপস পাল সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপনা অপসারণ করান। এমন দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনে প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *