চিতলমারীতে রাতে ১টি হলেও, ওষুধের দোকান খোলা রাখতে, ইউএনওর কাছে চিঠি।

বাগেরহাটের চিতলমারীতে রাতে ওষুধের দোকান খোলা না রাখায় চিকিৎসা নিতে পারছেনা জরুরী রোগীরা। চিতলমারীতে রাতে চিকিৎসা নিতে আসা জরুরি রোগীদের জন্য পর্যায়ক্রমে একটি করে ওষুধের দোকান খোলা রাখার জন্য ইউএনওর কাছে বৃহস্পতিবার লিখিত আবেদন জানান, জয়নুল পারভেজ সুমন। জয়নুল পারভেজ সুমন বলেন, ‘এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস।

প্রতিদিন রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে রাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের যে আর্তনাদ এটা আমি প্রতিদিন দেখি। কারণ আমার বাড়ি উপজেলা সদর বাজারে। আমার মত অনেক লোক দেখে। কিন্তু না জানি কি অদৃশ্য কারণে বিগত দিনে হয়নি। এখন একটি ভাল সময়। তাই আমরা কি পারি না প্রতিদিন নিয়ম করে একটি করে ফার্মেসী খোলা রাখতে। যেটার দরুন ওই অসহায় মানুষ গুলো জানতে পারবে যে চিতলমারীতে গেলে একটি না, একটি ওষুধের দোকান খোলা পাব। তাহলে কিন্তু আমাদের চিকিৎসা সেবাটা আরও একটু এগিয়ে যাবে।

এ প্রতিনিধিকে সুমন জানান, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারে ১৫ থেকে ১৬টি ওষুধের দোকান রয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে যদি নিয়ম করা হয় তাহলে একটি দোকানের মালিককে মাসে দুইদিন রাতে দোকান রাখতে হবে। তাতে দোকান মালিক ও রোগী উভয়ই উপকৃত হবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. আল-আমিন বলেন, “আমি যখন চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলাম, তখন আমরা নিয়ম করে দিয়েছিলাম। প্রতিদিন একজন ওষুধের দোকানদার অন কলে থাকতেন। জরুরী রোগীর স্বজনরা ফোন দিলে দোকানদার তার নিরাপত্তা বজায় রেখে ওষুধ দিতেন। এখন রাত ১১ টার পর আর চিতলমারীতে ওষুধ পাওয়া যায় না। এতে জরুরী রোগীদের মারাত্মক সমস্যা হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে একটি ফার্মেসী খোলা রাখলে চিকিৎসকদের রোগীদের সেবা দিতে খুব সুবিধা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *