
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের পাড়াতলী গ্রামের হুমায়ুন কবির (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার মাদকাসক্ত ছেলে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় ঘাতক পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, ছেলের হাতে নিহত হুমায়ুন কবীর পল্লী বিদ্যুতের অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। টাকার জন্যে প্রায়শই তার ছেলে রাজীব নিহত হুমায়ুন কবীরের সাথে খারাপ আচরণ করতেন। কখনো কখনো ছেলের হাতের মারও খেতেন হুমায়ুন। মুখবুজে সব কিছু সহ্য করতেন।
এলাকাবাসীর ধারণা ঘাতক রাজিব নেশাগ্রস্থ হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলেন। এদিকে পিতাকে নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সকালে আবারো তার পিতা হুমায়ুন কবীরের কাছে ১ হাজার টাকা চায় রাজীব। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ধারালো দা দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে বৃদ্ধ হুমায়ুন কবীরকে গুরুতর আহত করেন। একপর্যায়ে হুমায়ুন কবীর মাটিতে লুটিয়ে পরলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হুমায়ুন কবীরের। পরে এলাকাবাসী ঘাতক রাজীবকে ধরার জন্যে ধাওয়া করে। কিন্তু এর আগেই সে পালিয়ে যায়। এঘটনার পর নিহতের স্ত্রী ও কন্যা সংজ্ঞা হারিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফুল মিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি অত্যান্ত মর্মান্তিক। ছেলেটি নেশাগ্রস্থ হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। প্রায়শই সে তার পিতাকে মারধর করতো। আজ সকালে সে তার পিতাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘাতক পুত্র রাজিবের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৫, আহত ৩
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ছেলিটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
