জার্মানিতে বাঙালি শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব

 

খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই প্রধান খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে বাহারি স্বাদের মুখরোচক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সবসময়ই সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং বাঙলার লোকজ ঐতিহ্য এবং বাঙালি নারীর শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক হিসেবেও বিবেচিত হয়ে আসছে বাংলার পিঠাপুলি। বাহারি স্বাদ আর হরেক রকমের পিঠাপুলি বাঙালির শেকড়ের ঐতিহ্য। হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে স্মরণ করতে রোববার (১২ জানুয়ারি) জার্মানির পোর্ট সিটি খ্যাত হামবুর্গে আয়োজন করা হয় ‘পিঠা উৎসব’। অনুষ্ঠাটির সার্বিক তত্তাবধায়নে ছিলেন হামবুর্গে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ।

দিনব্যাপী আয়োজিত এই পিঠা উৎসবে ছিলো নানা রকম পিঠার সমাহার। যার মধ্যে ছিলো- ভাজা পুলি, দুধ পুলি, নারিকেল পাকন, ছেই পিঠা, পাটিসাপটা, ফুলঝুরি, নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝালপুলি, দুধপিঠা। এছাড়াও ছিলো চালের আটার রুটি, ভুনা মাংস, মুড়ি ভর্তা, ফুচকা-চটপটিসহ হরেক রকম বাঙালি খাবার। হামবুর্গের অবস্থানরত বাঙালি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন হামবুর্গ ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সাইন্স প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে উৎসবের আমেজে, পরিণত হয় এক টুকরো গ্রামীণ বাংলায়। আগামীতে হামবুর্গ বাঙালি কমিউনিটি কিভাবে সংস্কৃতি চর্চা করতে পারে এবং শিশুদের মধ্য ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটাতে পারে এ বিষয়ক আলোচনার মধ্যে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

 

মর্নিংনিউজ/আই/শাশি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *