আ’লীগ নেতা সাবেক সাংসদ মহুল বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ঝিনাইদহে বিক্ষোভ

ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সংবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখা। রবিবার বিকাল ৪ টার দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বাফুফে ও মহুলকে নিয়ে নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন এবং সেই সাথে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ অথবা অপসারণ না হলে রাজপথে নেমে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন।

এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার খবরে ঝিনাইদহের মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা বলেন, পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসর নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। তিনি সর্বশেষ ২০২৪ সালের একতরফা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদের দাবি শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও তার অনুসারিরা এখনও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাথা তুলে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসাবে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রায়হান বলেন, ঝিনাইদহে যখন আন্দোলন সংগ্রাম সংঘঠিত হয় তখন ১৬ই জুলাই আমার ভাইদের উপর নির্মমভাবে আঘাত হানা হয়। সেই আঘাতের মদদ দাতা ও অর্থের যোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত সাবেক সাংসদ মহুল ও তার ভাই হিজল। সেদিন আমরা হাসপাতালে সুচিকিৎসা পাইনি। আমাদের নিজ বাড়ির পরিবর্তে বিভিন্ন স্থানে ও মেসে থাকতে হয়েছে। সে সমস্ত জায়গাতেও হুমকি ধামকি ও তান্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ। আজকে যিনি বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি আমাদের আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য তারই ভাই হিজলকে দিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার ভেতর থেকে আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা করার জন্য দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলো। ৪ আগস্ট বিকালে তারাই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছিলো।

তিনি আরো বলেন, আপনি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে থেকে কিভাবে বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে। না হলে ঝিনাইদহের রাজপথে ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে আবারো দেখা হবে। আমরা ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানি করতে জানি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *