বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা। পাশাপাশি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে হামলা ও নির্যাতন। এসব কাণ্ডে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে কেউ কেউ ছাত্রদের দিকেও আঙ্গুল তুলছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে গণভবন আক্রমণ করে এবং লুটপাট করে, এরপর থেকেই বিচ্ছিন্ন ভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে ভাঙচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তেই থাকে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি খাবারগুলোও বাদ যায়নি এই হামলা থেকে।
রাজধানী ঢাকা তো রীতিমতো এক আতঙ্কিত শহরে পরিনত হয়েছে। গত কয়েকদিনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা থেকে সাধারণ নেতা সকলেই আক্রান্ত হয়েছে। সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের মোহাম্মদপুরের বাসায় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ভাঙচুরের শিকার হয়েছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল ইসলাম নিখিলের মিরপুরের বাসা ও অফিস। ঢাকার সকল আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সমূহে ভাঙচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ, এবং এর অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। শাহআলী থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুলতান আহমেদ, শাহ আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী এবং শাহ আলী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, প্রচার সম্পাদক হায়দার চৌধুরী, সদস্য সাইফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন বনি, আহমেদ নূর রাসেল, কাওসার খন্দকার, আজিজুল ইসলাম, মো: রুহুল হোসেন এবং সহ-সভাপতি তানভীর আহমেদ শোভন সহ আরও বেশ কিছু নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও পুরো রাজধানী জুড়ে চলমান রয়েছে এই হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা। প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে নতুন কোন আক্রমণের খবর। এ অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষও। নতুন করে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে ডাকাতের আতঙ্ক।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ায় দিশেহারা হয়ে হয়ে পড়েছে নেতাকর্মীরা।।
