তবে কি এলডোরাডো বাংলাদেশে! নাকি তার আশেপাশেই?


দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে আবারও স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল পোর্টের পাশবর্তী এলাকা থেকে পাচারকারীর এক মটর সাইকেল জব্দ করে বিজিবি। সেই মোটরসাইকেলকে ঘিরেই রহস্যজট খোলে। স্বর্ণের বার উদ্ধার হয় ১৮ টি, কিন্তু ধরা যায় নি পাচারকারীকে।

৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী, তার সুদৃড় নেতৃত্বে বারংবার সফল অপারেশন চলমান। বিজিবির ভাষ্যমতে আমড়াখালী এলাকা হয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার ইতোপূর্বেও বহুবার হয়েছে। সুতরাং বিজিবি গোয়েন্দার চৌকস দল সর্বদা সজাগ। স্বর্ণের একটি চোরাচালান হতে পারে সন্দেহে বিজিবি গোয়েন্দা তার ব্যাটালিয়নকে অবহিত করে। সে মোতাবেক ৪৯ বিজিবির অধিনস্ত আমড়াখালি চেকপোস্ট একটু নড়ে বসে। সন্ধ্যার প্রায় আগে থেকেই বিজিবি চেকপোস্ট টিম জনসাধারণের গতিবিধি নজরদারিতে রাখতে থাকে। হঠাৎ এক মোটরসাইকেল আরোহী তাদের সন্দেহে আসে এবং তারা সেটিকে থামার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই চোরাকারবারি ব্যক্তি মোটরসাইকেল না থামিয়ে জোরে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে এবং তাতে করে উক্ত ব্যক্তি কিছুদূর পালানোর পর উপায়ান্তর না দেখে শার্শা-বেনাপোলের মালিপোতা নামক এলাকায় মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।

এরপর বিজিবি গাড়িটি জব্দ করে তল্লাশি চালায়। অবাক ব্যাপার যেন চোরাকারবারীর এই ঘটনা সিনেমাকেও হার মানায়। মোটরসাইকেলের হেডলাইটের কেসিংয়ের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮টি স্বর্ণের বার। উক্ত স্বর্ণের চিপস বা বারগুলোর ওজন ২ কেজিরও বেশি, বাজারমূল্য আনুৃমানিক দেড় কোটি টাকা।

অধিনায়ক ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, আরোও জানান উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ও স্বর্ণ বেনাপোল পোর্ট থানার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে, যা পরবর্তীতে সরকারি ট্রেজারে পাঠানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন দূর্গাপূজা’কে কেন্দ্র করে মানুষের এই উভয় দেশের ব্যস্ততার ভীড়ে চোরাকারবারীরা বেশি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে বিজিবিও সক্রিয় অবস্থানে আছে।

মর্নিংনিউজ/আই/শাশি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *