নির্মাণ কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, বেনাপোল কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল

দেশের সবচাইতে বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল। উক্ত বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে নির্মনাধীন কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে আগামী অক্টোবর মাসে চালু হবে বেনাপোলের এই কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল। এস. এস. আর, টি.বি. ই. এল. ও এশিয়ান ট্রাফিক টেকনোলজি নামের ৩টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন ১৫০০ গাড়ীর ধারন ক্ষমতার এই টার্মিনাল তৈরীর নির্মান কাজের দায়িত্ব দেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, কাজ শুরু করেন ২০২২ সালে। নির্মাণ কাজের শুরু হতেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে এলাকাবাসীসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীক মহল। প্রকল্প কাজে নিন্ম মানের ইট,বালু,সিমেন্ট ও পুরাতন রড ব্যবহারের সত্যতা মেলে। নির্মাণ কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে দেশের স্বনামধন্য টিভি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশন,নিউজ টোয়েন্টি ফোর, ডিবিসি ও এটিএন বাংলায় প্রতিবেদন প্রচার হলেও অদৃশ্য শক্তিতে গঠিত হয়নি তদন্ত কমিটি। নির্মাণ কাজের টেকসই নিয়ে শঙ্কিত হয়ে মিডিয়ায় বিবৃতি দেন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো অঢেল টাকা ব্যায় করে গনমাধ্যমকর্মী ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ম্যানেজ করার গুঞ্জন রয়েছে। বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল চালুর পূর্বে গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রকল্প পরিদর্শনে এসেছেন নৌ মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্তি সচিব জনাব মহিদুল ইসলাম ও যুগ্ন সচিব মনিরুজ্জামান। তিন দিনের এই ঝটিকা সফরে বেনাপোল স্থল বন্দরের সার্বিক বিষয় নিয়ে মনিটরিং করবেন নৌ মন্ত্রাণালয়ের এই দুই কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত করেন বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির। তিন দিনের সফরের ১ম দিনে ঐ দুই কর্মকর্তা আন্তজার্তিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের তৃতীয় তলায় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে বেনাপোল বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় সূধীমহলের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে ছাত্র সমাজের পক্ষে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়কদের পাশে থাকা বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল মান্নান বেনাপোলের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল প্রকল্পের চলমান কাজের ব্যাপক দুর্নীতির বিষয় অতিঃসচিবকে অবগত করে প্রতিকার চান। প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল মান্নান প্রতিনিধি, গতকালের সাক্ষাৎ এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বেনাপোল বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে তাদেরকে প্রমান স্বরুপ নানা তথ্য ও ভিডিও চিত্র দিয়েছি। তাদেরকে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। ছাত্র সমাজের পক্ষ হতে বলেছি সরকারের ৩২৯ কোটি টাকার প্রকল্পে পুকুর চুরি ও কাজের নিন্মমান বেনাপোলের মানুষ মেনে নিবেনা। নির্মাণ কাজে অভিযোগ যখন উঠেছে তখন কুয়েট ও বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে কাজের গুনগত মান টেস্ট করিয়ে টার্মিনাল চালু করেন,অন্যথায় অনিয়মের দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। সংবাদ লেখাকালীন সময়ে নৌ মন্ত্রণালয় থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে পরিদর্শনে আসা প্রতিনিধি দল বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় অবস্থান করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *