নোয়াখালী মুছাপুর ক্লোজারে ১ পর্যটকের লাশ উদ্ধার,নিখোঁজ ২ 

ছবি: সংগৃহিত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ক্লোজারে ঘুরতে আসা তিন যুবক নদীতে জোয়ারের পানিতে নিখোঁজ হয়ে যায়।

শনিবার (১৫ আগষ্ট) সকালে মুছাপুর ক্লোজার এলাকার ছোট ফেনী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

বিকালে উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নিখোঁজদের ৩ জনের মধ্যে দাগনভুইয়া উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম স্বপনের (৩৯) লাশ উদ্ধার করে।

অপর নিখোঁজরা হচ্ছেন- ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের হাবিব উল্যাহর ছেলে ওমান প্রবাসী আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২০)।

এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম, গণপ্রবেশ ও বেড়াতে আসা নিষিদ্ধ ও সককল পর্যটন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, দাগনভুইয়া উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের ২৫-২৬ জনের একটি দল শনিবার সকালে মুছাপুর ক্লোজারে ঘুরতে আসে। এদের মধ্যে ৭ জন শখ করে ছোট ফেনী নদীতে জাল দিয়ে মাছ শিকারে নামে।
হঠাৎ নদীতে ভাটার পর জোয়ার আসলে প্রচণ্ড ঢেউয়ে ৭ জনের মধ্যে ৪ জন সাতার কেটে তীরে উঠলেও অপর ৩ জন নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। বিকাল নাগাদ নিখোঁজ নজরুল ইসলাম স্বপনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
নিখোঁজ অপর ২ জনকে উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর ঘটনার স্থানে গিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর বলেন, ওই এলাকায় কোনো ধরনের জন সমাগম, গণপ্রবেশ ও ঘুরতে আসা নিষিদ্ধসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে মুছাপুর রেগুলেটরের সকল গেট বন্ধ রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অননুমোদিত কথিত মুছাপুর ক্লোজার নামে পর্যটন কেন্দ্রে ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট বিকালে নৌকাডুবিতে মাদ্রাসার ছাত্রীসহ চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ওই এলাকায় লোকজনের যাতায়াত নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি লকডাউন খোলার পর অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য তা আবারও চালু করে দেয় স্থানীয় অসাধু কয়েকজন অর্থলোলুপ ব্যক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *