
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকায় ইসমাঈল হোসেনের জমিতে গাছের ডালপালা কাটাকে কেন্দ্র ওই এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হুদা নামে এক ব্যাক্তি ইসমাঈল হোসেন ও তার ছেলেদের উপর মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
রবিবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যালয়ে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ইসমাঈল হোসেনের পক্ষে তার স্ত্রী শাহিনা বেগম ও তার ছেলেরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৯ মে জেলার আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হুদা ও তার ছেলে এবং স্বজনরা অন্যায়ভাবে তাদের জমিতে লাগানো আম গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে সামসুল হুদা তার জমিতে রাখে। এদিকে পর দিন ইসমাঈল হোসেনের ছেলে সহিদুল ইসলাম বিষয়টি জানতে গেলে তাকে মারপিট করে সামসুল হুদা ও তার ছেলেসহ স্বজনরা। সাইদুলের চিৎকারে তার বাবা ইসমাইল হোসেনসহ তার তিন ছেলে ও স্বজনরা ছুটে গেলে সামসুল হুদার ছেলে, ভাই ও স্বজনরা তাদের উপর আরও হামলা ও মারপিট করে জখম করে। হামলার একপর্যায়ে সামসুলের ভাই জয়নুল ইসমাঈলকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে গিয়ে লাঠির আঘাত ইসমাঈলকে না লেগে সামসুলের ছেলে আমিনুল ইসলাম আমিনের মাথায় লাগে পরে সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এদিকে সামসুল ও তার ছেলেদের হামলার শিকার হয়ে ইসমাঈল হোসেন ও তার ছেলেরা হাসপাতালে ভর্তি হয় । পরে সামসুল হুদা ইসমাইল ও তার তিন ছেলের নামে মিথ্যা মামলা করে কিন্তু ঘটনার দিন ইসমাঈল হোসেনের বাকি দুই ছেলে নুর আলম ও নুর ইসলাম বাড়িতে ছিল না জানান ভুক্তভোগী পরিবারটি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাপায় ভ্যান চালক নিহত
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ইসমাঈল হোসেনের স্ত্রী শাহিনা বেগম জানান, সামসুল হক ও তার ছেলেসহ স্বজনরা প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে আমার স্বামীর জমিতে লাগানো আম গাছের ডাল জোরপূর্বক ভাবে অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যায় । আমার ছেলে জানতে গেলে তারা আমার ছেলেকে মারধর করে পরে আমার স্বামীকে মারে। সামছুলের ভাই জয়নুল তার ভাতিজা আমিনুর ইসলাম আমিনকে লাঠি দিয়ে মেরে আবার আমার স্বামী ও সন্তানদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করছে । আমরা নিরুপায় হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছি ।
সামসুলা হুদার দায়ের করা হত্যা মামলায় দুজন জামিনে থাকলেও ইসমাঈল হোসেন জেল হাজতে রয়েছে।
