জন্মপূর্ব তথা পূর্বজন্ম সকল অনুভবে
তুমিতো বাবাই, সদা প্রাণবন্ত বিরাজমান!
তব অবগাহন আর অনুরণনে পূর্ণ
সদা অদৃশ্য আবরণে বিস্তির্ণ,
তুমি সমস্ত রক্ত-শিরায়-ধমনীতে দীপ্তমান।
প্রানহীন স্বত্বার – নির্জীব আত্মার
সঞ্চারণে- অগ্রনী একক ভূমিকাতে,
জাগ্রতকারী- সুশোভন বসুন্ধরার পানে,
আনিত, প্রবাহমান ধারার স্বত্তাধিকারী
বাবা তুমিতো সমাপ্তি ও সূচনাতে!
জন্মলগ্ন অথবা প্রাক্কাল সর্বত্রই
বীরসেনা তুমি, এক সম্মুখ যোদ্ধা,
আনিত ধারার এ মহাযজ্ঞের ধরণীতে
লালনে ও পালনে, আবেগ ও বিরহে,
শাসন ও ভালবাসায়,কোমল ও কঠোরে
সমৃদ্ধির পরশ পানে এ যে মহাশ্রদ্ধা।
শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে এসে আজ
মহাজীবন সংগ্রামের নয়া প্রারম্ভে,
কভু যদি পৌঁছে পৌঢ় বা বার্ধক্যে;
তুমি শক্তি, তুমি দিপ্তী, তুমিই মুক্তির পণ
নির্বিকার; আমৃত্যু তথা আজীবন,
দৃঢ়তার আশ্বাসে, শক্ত বানে বিধে,
কখনও হারালে দিশা ঘন কুয়াশায় মিশে
জ্ঞানতো আমারি – উৎস তুমি
স্মরণের প্রাতে তোমার শিক্ষাই মুক্তি সাধে।
“নীতিকে দিও না জন্মাঞ্জলি, হয়োনা ভ্রষ্ট
জীবনের পথ পাড়িতে, সহিতে কষ্ট ক্লেশ,
কর্দমাক্ত-বৃষ্টিস্নাত পথের ক্লান্তি ছেড়ে
‘পথই তোমায় পথ দেখাবে’-এ বানী
অন্তরে চেপে, ঝেড়ে ফেলো হিংসা দ্বেষ।”
বলা হয়না কখনও “তোমায় ভালবাসি”
রক্ত, শিরা-ধমনীর টানে বারংবার ফিরে আসি!
