পেকুয়ায় ছুরিকাঘাতে গ্রামপুলিশ সদস্য আহত

ছুরিকাঘাতে আহত গ্রাম পুলিশ আবু ছালেক

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামায় এক গ্রামপুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করেছে গ্রাম আদালতে অভিযুক্ত আবুল শামা নামের এক বিবাদী।

সোমবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ঘাট মাঝির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে আহত গ্রাম পুলিশ সদস্য আবু ছালেক (২০) মগনামার মরিচ্যাদিয়া এলাকার কাইছার উদ্দিনের ছেলে। আবু ছালেক মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রামপুলিশ সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে দফাদার আলমগীরের নেতৃত্বে একদল গ্রাম পুলিশ আহত আবু ছালেককে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন আহত আবু ছালেক বলেন, মগনামা লঞ্চঘাট এলাকার ফিশারি ব্যবসায়ী ছরওয়ার বাদি হয়ে ঘাট মাঝির পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আবুল শামা ও তার ছেলে রবিউল আলমের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান অভিযুক্তদের ডেকে পাঠালে আমি তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়। অভিযোগের কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল শামাসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আবুল শামা ছুরি দিয়ে আমাকে আঘাত করে।

মগনামা ইউপির দফাদার আলমগীর বলেন, আবু ছালেককে ছুরিকাঘাত করার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান আমাদের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করাই।

আহত গ্রাম পুলিশকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের উপরও আবুল শামা গং হামলার চেষ্টা করে বলে জানায় মগনামা ইউপি দফাদার।

মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, ১লাখ ৬৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে ব্যবসায়ী সরওয়ার আলম বাদি হয়ে রবিউল আলম ও তার পিতা আবুল শামার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগে উভয় পক্ষকে মীমাংসা জন্য ডাকা হলে রবিউল আলম ও তার পিতা আবুল শামা দুইদিনের সময় নিয়ে পালিয়ে যান। ১০দিন পর বাদি সরওয়ার ফোন করে বলেন, আসামী রবিউল আলম বাড়িতে এসেছে। এরপর আমার ইউপির গ্রাম পুলিশ আবু ছালেককে পাঠিয়ে তাদেরকে কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। গ্রাম পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথে আবুল শামাসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি ছুরিকাঘাত হয়ে গুরুতর আহত হন। ইউপির দফাদার আলমগীরের নেতৃত্বে একদল গ্রাম পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

এবিষয়ে মগনামা ইউপি কার্যালয়ের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান শরাফাত উল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *