
দেশের সর্ববৃহৎ প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল যশোর জেলার অন্তর্গত, বেনাপোল স্থল বন্দরে অবস্থিত। এই এলাকা দিয়ে স্বর্ণের চোরাচালানের ঘটনা নতুন কিছু নয় তবে বারংবারই যেন চোরা কারবারিরা ব্যর্থ হয়েছেন, ধরা পড়েছেন প্রশাসনের কাছে। প্রসাশনের তীক্ষ্ণ নজরকে তারা এড়াতে পারেন নি। এবারে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা ভারতে পাচারের সময় ৪ পিস স্বর্ণের চিপসসহ ১ পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল আনুৃমানিক ১১ টা, শুল্ক গোয়েন্দা তৎপর। বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা রাখা হয়েছে কড়া নজরদারিতে। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আবিষ্কার করা গেল। তার নাম ইমাম হোসেন জীবন (২৪), বাড়িঃ শরিয়তপুর জেলার, পালং থানার, চাতানিকান্দি গ্রাম। পিতার নামঃ আব্দুল হালিম।
উক্ত ব্যক্তিকে সন্দেহের পরপরই আটক করা হয়, যার পাসপোর্ট নং BT0536809
বেনাপোল কাস্টমস্ হাউজের শুল্ক দপ্তরের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, ভারতে স্বর্ণ পাচার হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিনিয়র মহলের নির্দেশক্রমে এবং যুগ্মপরিচালকের তত্বাবধানে এবং ওনার নেতৃত্বে সকাল থেকেই তারা ইমিগ্রেশন টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান নেন। সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে স্বর্ণ পাচারকারী সন্দেহে একজন পাসপোর্টধারী যাত্রীকে আটক করা হলে পরে তাকে জোরপূর্বক তল্লাশি করা হয়। তল্লাশীকালীন উক্ত ব্যক্তি ইমাম হোসেন জীবন অকপটে স্বীকার করে নেন যে তার পেটের ভিতরে বিশেষ কায়দায় স্বর্ণ লুকানো রয়েছে।
কী আশ্চর্য ব্যাপার ভাবছেন! ঘটনাক্রমে এক্স-রে করার প্রয়োজনবোধ করলে ইমাম হোসেন জীবনকে সেই ব্যবস্থায় নেয়া হয় এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তার পেটের ভিতর থেকে ৪ পিস স্বর্ণের চিপস্ বা বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা যথাযথ উপায়ে উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৪৬৪ গ্রাম এবং বাজারমূল্য আনুৃমানিক ৩০- ৩৫ লাখ টাকার মত। জব্দকৃত স্বর্ণের বার কাস্টমস হাউসের শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে। উক্ত চোরাকারবারী জীবনকে বেনাপোল পোর্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সোপর্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, বিভিন্ন সময়ে হলিউড অথবা বলিউড সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ সমাজ এহেন অপরাধচক্রের সাথে মিশে এমন কাজে লিপ্ত হচ্ছে যা দেশ ও দশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ।
মর্নিংনিউজ/আই/শাশি
