
অল্প রানের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছেন শান্ত একাদশ। ম্যাচ জয়ে বড় অবদান তৌহিদ হৃদয়ের। ষষ্ঠ উইকেটে শুক্কুরকে নিয়ে তৌহিদের ১০৫ রানের জুটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
দল যখন ৭৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তখন তৌহিদের ৬৭ বল খেলে করা ৫২ রানই ম্যাচ ধরে রাখে।অন্যপাশে ৭৮ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন শুক্কুর।

নাজমুল হাসান শান্ত টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন।এর আগে করোনায় শহীদদের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২২ গজের লড়াইয়ে নেমে পড়েন উদ্বোধনী ম্যাচের দুই দলের ক্রিকেটাররা।
বিসিবি’র আয়োজিত প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই আগ্রাসন বলিং করছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। সেই ধারা ধরে রাখলেন প্রেসিডেন্ট’স কাপেও। দুর্দান্ত বোলিংয়ে লিটনকে (১১) বোল্ড করে তুলে নিলেন দিনের প্রথম উইকেট।
প্রস্তুতি ম্যাচে শতক হাঁকান মুমিনুল হক। আল আমিনের বলে বোল্ড হয়ে ৬ বলে শূন্য রানে সাজ ঘরে ফেরেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক। দলীয় মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে রিয়াদ একাদশ। আর এই চাপ সামলাতে তখনই উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসকে নিয়ে গড়েন ৭৩ রানের জুটি।
কিন্তু বরাবরের মতই ইনিংস লম্বা করার দিকটায় ব্যার্থ দুইজনই। মাঠে যেই থিতু হিয়েছেন ঠিক তখনই যেন ভুল শট খেলে আউট হওয়ার প্রবণতা কোনো টাইগার দলের পিছু ছাড়ছেনা।

শেষ দিকে আশা দেখালেও সাব্বির রহমান প্যাভিলিয়নে ফেরেন নামের পাশে মাত্র একুশ রান যোগ করে।
তাসকিন আহমেদ ১০ ওভারে মাত্র ৩৭ রানের বিনিময়ে নেন ২টি উইকেট। আরেক পেসার আল আমিন হোসেনও ১০ ওভারে নেন ২টি উইকেট রান দিয়েছেন ৪০। এছাড়াও ২টি উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তিনি ৯ ওভারে দিয়েছেন ৪৪ রান। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার নাইম হাসান এবং সৌম্য সরকার।
নাজমুল একাদশের লক্ষ্য নির্ধারিত ৫০ ওভারর ১৯৭ রানের।
শান্ত একাদশের হয়ে ওপেনিং করেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। প্রথম ওভারেই দুটি চার মেরে আশা জাগালেও এবারও ব্যার্থ দুই ওপেনার। যথাক্রমে সৌম্য ২১ ও সাইফ ১৭ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এ যাত্রায় মি.ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহমান করেছেন মাত্র ১ রান।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে ৪৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন।এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
দুই ইনিংসেই টপ অর্ডারের ব্যার্থতা ছিল চোখে পরার মত।
স্কোরবোর্ড:
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ১৯৬/১০, ৪৭.৩ ওভার, (মাহমুদুল্লাহ ৫১, ইমরুল ৪০, সাব্বির ২১), (তাসকিন ২/৩৭; আল-আমিন ২/৪০; মুগ্ধ্ব ২/৪৪)
শান্ত একাদশ: ১৯৭/৬, ৪১.১ ওভার, (শুক্কুর ৫৬*; হৃদয় ৫২), (এবাদত ৩/৪৬; মাহমুদউল্লাহ ১/২৭)
ফলাফল: শান্ত একাদশ ৫৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয়ী।
রিয়াদ একাদশ: নাঈম শেখ, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নুরুল হোসেন সোহান, রাকিবুল হাসান, ইবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
শান্ত একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, নাইম হাসান এবং রিশাদ আহমেদ।
