বন্যার পরিস্থিতি অবনতি, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

ছবি: সংগৃহিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রতিদিনের বৃষ্টির পানিতে ভয়াবহ হয়ে উঠছে বন্যা পরিস্থিতি। প্রায় প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন দেশের নতুন নতুন অঞ্চল। ভাঙছে সড়ক, বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।আশ্রয় হিসেবে খুজে নিচ্ছে বাঁধ বা রাস্তার উঁচু অংশ। নেই খাবার, তাই ত্রাণের জন্য হাহাকার।

নতুন করে প্লাবিত এলাকাগুলোতে প্লাবিত হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। বিচ্ছিন্ন হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভাঙছে সদ্য নির্মিত রাস্তা।

পদ্মায় পানি বিরামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। তীব্রতা বেড়েছে চরাঞ্চলের ভাঙ্গণের । নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছে চরাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ। এছাড়াও পানিবন্দি হয়ে পরেছে হাজারো মানুষ। গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।

মেঘনার তীব্র ভাঙনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রাক্ষুসে মেঘনা ইতিমধ্যে গিলে খেয়েছে চরকালকিনি, সাহেবেরহাট, চরফলকন ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের ৩৬ ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ড। গঙ্গাচড়ায় তিনশতাধিক বাড়িঘর তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ইদে ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল

এদিকে, জামালপুরে তৃতীয় বারের মতো বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৭ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বকশীগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর এবারের বন্যাই সব  থেকে বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স বা ওসিএইচএ  তাদের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *