বাঁচতে চাই নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী সাইফ, প্রয়োজন ২০ লাখ টাকা

মো. সাইফ উদ্দিন

মোঃ সাইফ উদ্দিন একটি পরিবারের একরাশ স্বপ্নের নাম। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন সাইন্সের ‘ইনফরমেশন সাইন্স ও লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগের ৩য় বর্ষের বর্তমান শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংবাদিকতা আর লেখালেখিতে যার ব্যস্ত সময় কাটতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন শেষে পরিবারের হাল ধরার স্বপ্নে বিভোর সাইফ করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে শারীরিক যন্ত্রনা অনুভব করলে গ্রাম্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

সাইফ জানান, গত ২৮ মার্চ তারিখ থেকে হঠাৎ করে মাথা ব্যাথা, বমিসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় তার।কিন্তু দেশব্যাপী চলমান করোনাভাইরাস দুর্যোগের কারণে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছেই চলে তার চিকিৎসা। এরপর ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা করে তিনি জানতে পারেন তার দুটি কিডনি ইনফেকশন হয়ে প্রায় শেষ অবস্থায়। পরে  নোয়াখালী থেকে ইমার্জেন্সি ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রখ্যাত নেপ্রোলজিস্ট ডা. ইউশা আল আনসারীর অধীনে চিকিৎসা নেন সাইফ।

বর্তমানে  সাইফ এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার বলেছেন যে, সাইফের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে, তা না হলে সাইফকে বাঁচানো সম্ভব নয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সাইফের পরিবারের কারো সাথেই তাঁর রক্তের গ্রুপ ম্যাচ না করায় পরিবারের ইচ্ছে সত্ত্বেও কেউ কিডনি দিয়ে সাইফকে সুস্থ করতে পারছেন না। এমতাবস্থায়, সাইফকে বাঁচাতে হলে অন্য কোথাও থেকে কিডনির ব্যবস্থা করেই তা প্রতিস্থাপন করতে হবে। সাইফের বাবা জানান, ছেলেকে বাচাঁতে প্রায় ২০ (বিশ) লাখ টাকা লাগবে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। সাইফের পরিবারের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে সাইফের সহপাঠী, শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের দয়ালু বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুন: করোনায় ঘর বন্দী শিক্ষার্থী; শিক্ষকের প্রশ্নে ঘরেই পরীক্ষা নিচ্ছেন মায়েরা

এখন একটি সম্ভাবনাময় প্রদীপকে বাঁচানোর দায়িত্ব সমাজের, আমাদের সকলের।আমরা সবাই এগিয়ে আসলে সাইফের চিকিৎসা সম্ভব। আসুন সকলে আন্তরিকতার সাথে সাইফের জন্য আর্থিক সহায়তা করি। বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করি অকালে ঝরে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা আমাদের সাইফকে। সাইফকে সাহায্য পাঠানোর জন্য নিম্নোক্ত ব্যাংক হিসাব আর বিকাশ/নগদ/রকেট নম্বর ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

ব্যাংক ও অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা:

জয়েন্ট একাউন্ট:
১.কামাল উদ্দিন
২.এন আই আজাদ
৩.এফ এ মিতু

ব্যাংক একাউন্ট নংঃ ১২১১২১০০০৪০৬৭৩
এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, সোনাপুর শাখা, নোয়াখালী
রুটিন নংঃ ১০০৭৫২২৬১ (যদি প্রয়োজন হয় )

বিকাশ নম্বর: ০১৮৭৯-৩৭৩৪০৭, ০১৬২০-৯৬৫৬৭২, ০১৮৩১-৪৪৭৮০১
নগদ নম্বর: ০১৮৩০-০১৬১০০
রকেট নম্বর: ০১৭৪২-২৬৮৬৭০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *