যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় গো-খাদ্য হিসেবে নিম্নমানের ভূসি সাথে ধানের কুড়া ও নিম্নমানের আটা মিশিয়ে বসুন্ধরা কোম্পানির ভূষির লেভেল লাগিয়ে বিক্রির হিড়িক পড়েছে। আর এই কাজের সাথে জড়িত খোদ ওই বাজারের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাংবাদিকদের কাছে খবর আসছিলো বাগআঁচড়া বাজারের কয়েটি পয়েন্টে রাতের আঁধারে ও দিনে গোডাউনের দরজরা আটকে গোপনে নিম্নমানের ভুসির সাথে ধানের কুড়া ও নিম্ন মানের আটা মিশায়ে বসুন্ধরা কোম্পানির খালি বস্তায় ভরে তা দোকানে এনে বিক্রি করে ক্রেতা ঠকানো হচ্ছে।এর কারণ হলো অন্য কোম্পানির ভূসির চেয়ে ক্রেতা ও খামারিদের কাছে বসুন্ধরা কোম্পানির ভুসির কদর বেশী।
এমন খবরে রোববার অনুসন্ধানে নেমে দেখা যায়, বাগআঁচড়া ময়ূরী সিনেমা হলের উত্তর পাশ্বে আনছার আলীর বিল্ডিংয়ে গোডাউনে দিনের বেলা চলছে নিম্নমানের ভুসির সাথে ধানের কুড়া ও আটা মিশানোর কাজ। মিশানো শেষ হলে তা বসুন্ধরা কোম্পানির খালি বস্তায় ভরে নতুন করে মেশিনের সাহায্যে মুখ সেলাই করে পাঠানো হচ্ছে বাজারের বিভিন্ন দোকানে।আর এই নকল ভুসি তৈরির হোতা বাগআঁচড়া বাজারে শামীম ট্রের্ডাসের মালিক শামীম হোসেন।
অভিযুক্ত শামীম হোসেন জানান, তিনি একা এ কাজ করেন না। বাগআঁচড়া বাজারের আরো ৫ থেকে ৬ জন ব্যবসায়ী ও এ কাজ করেন।
সেই সব ব্যবসায়ীদের নাম কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শংকপুর রোডে ঠাকুর ঘরের সামনেও এ কাজ চলছে। বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল বাবু চেয়ারম্যান মার্কেটের ভিতরে ও বাজারের একাধিক পয়েন্টে এমন কাজ চলে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এসময় তিনি বলতে থাকেন শুধু আমাকে দোষারোপ করেননা অন্য যারা করছে তাদের বিষয়েও দেখেন।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তপু সাহা জানান, এ কাজে যে প্রতিষ্ঠান জড়িত তাদেরকে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, গো খাদ্যে ভেজাল মেশানোয় আইনগত অপরাধ। যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
