যশোরের বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের জন্য এ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু তাহের মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম। রবিবার (০৬ এপ্রিল) বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহসানুল কবীর বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন।
ইতোপূর্বে যশোর শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রে আবু তাহের মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের এ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। সেলিম বেনাপোল পৌরসভার বড় আঁচড়া গ্রামের মৃত শামসুজ্জোহা সরদারের ছেলে।
মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমের পূর্ব পরিচয় তিনি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন বেনাপোল সরগম সংগীত এ্যাকাডেমীর সভাপতি এবং সি অ্যান্ড এফ এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক পদে ব্যবসায়ীদের সেবা দিচ্ছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনেও রয়েছে তার বিস্তার। ছাত্র জীবনে যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও দীর্ঘদিন বেনাপোল নগর ও শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। দায়িত্বশীল গুণাবলীর কারনে বর্তমানে বিএনপির নীতি নির্ধারকবৃন্দ তাকে শার্শা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদমর্যাদা দিয়েছেন।
জানা যায়, আ.লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর গত ২০ আগস্ট দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে দেয় অন্তবর্তিকালীন সরকার। পরে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের।
এ দিকে মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমকে এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনিত করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যশোর শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক কামরুজ্জামানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এছাড়া অভিনন্দন জানিয়েছেন, স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং গণমাধ্যম কর্মীরা।
মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনি লেখা,পড়া করেছেন। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেবা করার সুযোগ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ। রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঅঙ্গন, সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও বিদ্যালয় উন্নয়নে কাজ করতে ভুমিকা রাখবে এই পরিচালনা পরিষদ কমিটি। তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সহযোগীতা কামনা করেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৩ হাজার ৬৫০টি। এগুলোর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮ হাজার ৩৪০টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১ হাজার ৪১৭টি, কলেজ ২ হাজার ৪০৭টি, মাদ্রাসা ৯ হাজার ২৫৬টি এবং কারিগরী ও ভোকেশনাল (স্বতন্ত্র) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২৩০ টি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে।
