বেরোবিতে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকী পালন: আসছেন চার উপদেষ্টা

আগামী ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পালিত হতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকী এবং ‘জুলাই শহীদ দিবস’। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চারজন উপদেষ্টাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন।

উপস্থিত থাকবেন গুরুত্বপূর্ণ অতিথিরা:
বেরোবি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই বিশেষ দিনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চারজন উপদেষ্টা। তারা হলেন:
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক আযম, বীরপ্রতীক।
এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান উপস্থিত থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানে আবু সাঈদের বাবা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং ২১ জন শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন।

দিনব্যাপী কর্মসূচির বিস্তারিত:
জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে বেরোবিতে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে:
সকাল ৬:৩০ মিনিট: পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা।
সকাল ৭:৩০ মিনিট: শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত।
সকাল ৯:১৫ মিনিট: কালো ব্যাজ ধারণ ও শোকর‍্যালি।
সকাল ১০:০০ মিনিট: বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদ তোরণ ও জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
সকাল ১০:১৫ মিনিট: বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
সকাল ১০:৩০ মিনিট: আলোচনা সভা।
বিকেল ৩:৩০ মিনিট: চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
বাদ আসর (বিকাল ৫:৩০ মিনিট): বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
এই আয়োজন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে এই আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *