ছাত্র প্রতিনিধিরা অর্থাৎ বৈষম্য বিরোধী, এনসিপি, অন্যরা সরকারে থাকলে দেশে কোনভাবেই অবাধ, স্বুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। গণঅধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক রাশেদ খাঁন ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার, বিভিন্ন দপ্তর, ডিসি অফিস সহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন অর্থাৎ বৈষম্য বিরোধী বা এনসিপি অথবা অন্যরা যদি এখন সরকারে থাকে তাহলে দেশে কোন ভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। যদি আপনারা রাষ্ট্র সংষ্কার করতে চান তাহলে আগে উপদেষ্টা পরিষদ সংষ্কার করতে হবে।
অন্তবর্তিকালীন সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও রিজওয়ানা হাসান আওয়ামীলীগের তিন জন ডামি এমপিকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে নিম্ন আদালত থেকে জামিন করিয়েছেন। উপদেষ্টারা যদি আওয়ামীলীগের এমপিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় তাহলে কিভাবে আপনারা আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করবেন। এমন করলে জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে।
শনিবার দুপুরে গনঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের লা এলিমেন্তো ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। সেসময় গনঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, সদর উপজেলা সভাপতি হালিম পারভেজ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিবুল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন রায়হান, পৌর গণ অধিকার পরিষদের আহব্বায়ক মাহাফুজুর রহমান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় কালে রাশেদ খাঁন বলেন, এর আগে আমরা দাবি জানিয়েছি শেখ হাসিনা কে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাসি তে ঝুলাতে হবে, প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নয়, তার সাঙ্গপাঙ্গ সহ সকল অপরাধিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিচার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে কুটনৈতিক পদক্ষেপ বাড়াতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সেই তৎপরতা বৃদ্ধি করছেন। কিন্তু তার আশে পাশে যারা রয়েছে তারা কি ভূমিকা রাখবে সেটি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
