মহেশখালীতে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত; ধসে পড়েছে অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা

টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায় সৃষ্ট বন্যায় প্রায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রবল স্রোতে ধসে পড়েছে ব্রীজ-কালভার্ট।

উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ শাপলাপুর-গোরকঘাটা সড়ক এবং গোরকঘাটা-জনতা বাজার সড়ক দুটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার গোরক ঘাটা-শাপলাপুর সড়কের মিঠাছড়ি নামক স্থানে একটি কালভার্ট ধসে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বুধবার থেকে।  আর গতকাল সকালে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানির স্রোতে গোরকঘাটা- জনতা বাজার নামক অপর প্রধান সড়কটিতে হোয়ানক ইউনিয়নের পদ্মপুকুর পাড়া নামক স্থানে নির্মাণাধীন ব্রীজের ডাইভার্সন লোড ভেঙ্গে গিয়ে গোরকঘাটার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী প্রায় দুই হাজার পথযাত্রী।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামিরুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘ধসে যাওয়া পথঘাট ও কালভার্টগুলো পরিদর্শন করেছি। খুব শীঘ্রই জরুরী ভিত্তিতে সড়ক যোগাযোগ পুনস্থাপন করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এছাড়া উপজেলার হোয়ানক, মাতারবাড়ি, শাপলাপুর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে কাঁচা ঘরিবাড়ির লোকজন।

আরও পড়ুন: সমুদ্রের তীরের সি. প্রিন্সেস এ হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার

মাতারবাড়ির নতুনবাজার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানায়, ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে তার বাড়ি। এখন পর্যন্ত হাঁটু সমান পানি বাড়ির ভেতরে। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশন চাই।

এদিকে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৫০টির বেশী চিংড়ীঘের। যার ফলে ঘের হতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে মৎস্যজীবিদের জীবিকা। তাছাড়া মহেশখালীর অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে বলে জানায় চাষীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *