মাদকের ভয়াবহ থাবায় আবারও এক তাজা প্রাণ ঝরে গেল। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় মাদকাসক্ত বড় ভাইয়ের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছে ৫ বছর বয়সী ছোট ভাই মিনু মিয়া। এই মর্মান্তিক ঘটনা সমাজের সামনে মাদকের ভয়াবহ পরিণতি আবারও স্পষ্ট করে তুলেছে।
বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের রামরায়ের পাড়া গ্রামে হৃদয় বিদারক এ ঘটনা ঘটে। মাদক সেবনের জন্য মা ৫০০ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ১৯ বছর বয়সী জাহিদ হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর সে ঘরে ভাঙচুর শুরু করে। মা বাধা দিতে গেলে জাহিদ আরও উত্তেজিত হয়ে বটি দিয়ে ঘুমন্ত ছোট ভাই মিনুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মিনুর গলা কেটে গিয়ে ঘটনাস্থলেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকারী জাহিদ হাসান দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য সে প্রায়শই পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করত এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করত। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো মাদক কীভাবে একজন মানুষকে পাশবিক করে তোলে এবং একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিষ্পাপ মিনুর এমন নির্মম মৃত্যুতে এলাকাবাসী স্তম্ভিত। তাদের একটাই প্রশ্ন— মাদকের কারণে আর কত প্রাণ এভাবে অকালে ঝরে যাবে? কবে এই সমাজ মাদকমুক্ত হবে?
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাহিদ হাসানকে আটক করেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে এই একটি ঘটনা শুধু মিঠাপুকুরের নয়, এটি পুরো দেশের চিত্র যেখানে মাদকের করাল গ্রাস যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে সমাজকে রক্ষা করতে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি।
