রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খিয়ারপাড়া মৌজার ফকির পাড়া গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তা বর্তমানে তীব্র জলাবদ্ধতার শিকার। এই জলাবদ্ধতার কারণে গ্রামের প্রায় ১ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। রাস্তাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় গ্রামের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে এবং এক অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিড়ম্বনার চিত্র:
গ্রামের প্রধান এই কাঁচা রাস্তাটি স্থানীয়দের যাতায়াতের অন্যতম একটি পথ। কিন্তু বিগত দিনগুলোতে বৃষ্টি হওয়ায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাটির একটি অংশ এখন ডোবায় পরিণত হয়েছে। ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, কারণ হাঁটু সমান কাঁদা-পানিতে হেঁটে যাওয়া তাদের জন্য অসম্ভব। বড়রাও সাইকেল বা মোটরসাইকেলে চলাচল করতে পারছেন না, ফলে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটছে। জরুরি প্রয়োজনেও গ্রামের বাইরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
জলাবদ্ধতার সম্ভাব্য কারণ:
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই জলাবদ্ধতার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ দায়ী থাকতে পারে।
অপর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা: রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টির পানি জমছে।
রাস্তার নিচু অবস্থান: রাস্তাটি আশেপাশের জমির তুলনায় নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি সহজেই জমে যাচ্ছে এবং দীর্ঘক্ষণ স্থির থাকছে।
অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজ: অতীতে রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কারের সময় জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় না রাখা হলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আশেপাশের নতুন কোনো নির্মাণ কাজ বা অপরিকল্পিত মাটির ভরাটও পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
প্রাকৃতিক কারণ: অতি বৃষ্টিপাতও একটি কারণ হতে পারে, তবে যদি পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকত, তাহলে হয়তো এই সমস্যা এতটা প্রকট হতো না।
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ:
ফকির পাড়া গ্রামের এই গুরুতর সমস্যাটি দ্রুত নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, অবিলম্বে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই জলাবদ্ধতার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
গ্রামবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে এবং ফকির পাড়ার প্রায় এক হাজার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনা হবে। একটি টেকসই নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি এবং রাস্তার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের দুর্ভোগ থেকে গ্রামবাসী রক্ষা পাবেন।
