রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর গ্রামের হিন্দু পাড়ায় গত ০৯ জুন রাতে মন্দিরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে গাছের সাথে বেঁধে রাখার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার একটি লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বৃদ্ধকে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় ঘিরে ধরে কিছু লোক। অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই বৃদ্ধ মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করেছেন। তবে ফেসবুকের কিছু পোস্টে অনেকেই দাবি করেছেন যে, লোকটি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং কিছু অতি উৎসাহী হিন্দু যুবক কোনো বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই তার উপর নির্যাতন চালিয়েছে। এই দাবিগুলো ঘটনার জটিলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিকভাবে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। লোকটি আসলেই মূর্তি ভাঙচুর করছিল কিনা, কিংবা এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে কিনা, তা এখনো অজানা। এই ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি সামাজিক সংহতি এবং সহনশীলতার প্রশ্ন সামনে এনেছে।
স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা উচিত। যদি প্রমাণিত হয় যে, লোকটি মানসিক প্রতিবন্ধী, তাহলে তার উপর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। একই সাথে, কোনো গুজব বা অপপ্রচার যেন সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। এই ধরনের ঘটনা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে, যা কাম্য নয়।
