মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশা, জনদূর্ভোগ চরমে

মোংলা-খুলনা মহাসড়ক। ছবি: মর্নিং নিউজ বিডি।

মোংলা দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর। শুধুমাত্র বন্দরে যাতায়াতের একমাত্র স্থলপথ না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছেও সড়কটি সমান গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৪ সালে সড়কটি নির্মাণ কাজ হওয়ার পর থেকে এখনো পুনরায় নির্মাণ এবং প্রশস্থকরণ করা হয়নি। বর্তমানে সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রামপাল উপজেলার বেলাই ব্রিজ থেকে বন্দর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বেলাই ব্রিজ থেকে মোংলার দিগরাজ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং দিগরাজ থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন।

এই ১০ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়েই এ রাস্তায় চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন। একারণে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। ছোটো খাটো দুর্ঘটনা নিত‌্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে ভোগান্তি কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাঁচ কিলোমিটার অংশে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।

গাড়ি চালকরা জানান, ‘একট্রিপের পর আর গাড়ি চালানো যায় না। সড়কটির এতই খারাপ অবস্থা যে, একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই যাহবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ে।’

পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর এই কয়েক কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। রাস্তার দুই পাশে স্থানীয় বাজার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো রাস্তার থেকে উঁচু হওয়ায় পানি জমে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা দেখি মাঝে মাঝে সড়ক সংস্কার করা হয়। কিন্তু পানি জমে আবার তা নষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: সড়ক নয় যেন চষা মাঠ! পথচারীদের চলতে হয় কাদা-পানি মাড়িয়ে 

বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বেলাই ব্রিজ থেকে দিগরাজ বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দিগরাজ থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বিটুমিন দিয়ে সংস্কার করা সম্ভব না। তবে আমাদের অংশে প্রতিনিয়ত সোলিং এইচ বিবি করে রেগুলার কাজ করে যাচ্ছি। যাতে যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা না হয়। অনেকবার রাস্তাটি মেরামত করা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসে রুটিন মেইন্টেনেন্সের আওতায় আবারও সড়কটি মেরামত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *