যশোরের শার্শায় জামাল হোসেন হত্যার রহস্য উন্মোচন, আটক ২।

যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার জেরে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেছে শার্শা থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে শার্শা থানায় এক প্রেস কনফারেন্সে সংবাদকর্মীদের এ বিষয়ে জানান নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান।

আটক আমানত উল্লাহ শার্শা উপজেলার উত্তর বারোপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে ও কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হোসেন।

হত্যাকান্ডের পরদিন নিহত জামাল হোসেনের পিতা আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন ও প্রকাশ্যে তদন্তকালে আসামী আমানত উল্লাহ ও জাহিদ হোসেনকে  আটক করা হয়। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিষয়ে তারা জানায়, “রোববার সন্ধ্যায় জাহিদ ভিকটিম মৃত জামাল হোসেনের বাড়িতে এসে তাকে মিন্টুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ভিকটিম ও আসামী জাহিদ একসাথে মিন্টুর মোটরসাইকেল নিয়ে শার্শা থানা এলাকায় আসে। রোববার (৩০মার্চ) রাত ১০ টার দিকে জামাল হোসেন ও জাহিদ জনৈক শফির ভাটা সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উপজেলার শিবনাথপুর (বিলপাড়া) গ্রামের আনসার আলীর ছেলে জাহিদুল (৩৫) এবং উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবুর রহমান তবির ছেলে আলাউদ্দিন (২৫), মৃত গোলাম রসুলের ছেলে হাফিজুর (৪০), মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানতউল্লাহ (২৫), মৃত গোলাম রসুলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও খালেকের ছেলে জুম্মান (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন হাতে কাঠের চলা, রামদা নিয়ে ভিকটিম জামাল হোসেন এর মোটরসাইকেলটি থামার সংকেত দেয়।

তখন জামাল হোসেন সেখান থেকে মোটরসাইকেল দ্রুত চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।এসময় সাথে থাকা জাহিদুল কাঠের চলা দিয়ে ভিকটিমের গলায় আঘাত করে। তখন মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জামাল হোসেন রাস্তার পাশে একটি গর্তে পড়ে যায়। এসময় অন্যরা তাদের হাতে থাকা কাঠের চলা দিয়ে ভিকটিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *