রিয়েল হোমিওপ্যাথিক ঔষধে নবজাতক শিশুর অলৌকিক উন্নতি

চিকিৎসা সেবায় দিনে দিনে অবিশ্বাস্য সব সফলতার দেখা মিলছে হোমিওপ্যাথিক বিভাগে। এর মধ্যে এগিয়ে আছে তারাই যারা নিয়মিত ঔষধ এবং রোগীদের নিয়ে গবেষণা করে চিকিৎসা সেবা ত্বরান্বিত করে। এমন এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয়ের সন্ধান মিলেছে আমাদের প্রতিনিধির। রিয়েল হোমিওপ্যাথিক ক্লিনিকের এমন সব গবেষণলব্ধ ঔষধের সফলতাসমূহ তুলে ধরা হবে মর্নিং নিউজ বিডিতে। নিয়মিত এ আয়োজনর আজ ১ম পর্ব-

১১ বছরের বিবাহিত জীবনে অনিয়মিত ঋতুস্রাব ও গাইনি জটিলতায় গর্ভধারণে সমস্যা ছিল ৩৫ বছর বয়সী রেশমার। রিয়েল হোমিওপ্যাথি থেকে চিকিৎসা এবং ঔষধ সেবনে সে গর্ভধারণ করে বটে কিন্তু গর্ভধারণের পরে সে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করেনি।

যখন সে ৯ মাস গর্ভাবস্থায় তখন পাঁচ দিনের প্রসব ব্যাথা নিয়ে মাগুরার একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়, ডাক্তার তার সাথের লোকদের দ্রুত সিজার করতে বলেন কারণ পানি শুকিয়ে গেলে বাচ্চা মারা যেতে পারে।

২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সিজারিয়ান সেকশনের পর অপুষ্ট এবং মৃত প্রায় একটি শিশুর জন্ম হয়, দ্রুত বাচ্চাকে মাগুরা সরকারি হাসপাতালের নিওনেটাল ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। জন্মের পর থেকে বাচ্চা কাঁদতে ও স্তন্যপান করতে পারছিল না।

অসুস্থ রেশমা ক্লিনিকে এবং নবজাতক শিশু তার খালার তত্ত্বাবধানে সরকারি হাসপাতালে ছিল। একদিন অতিক্রম হবার পর বাচ্চার উন্নতি না দেখে খালা এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারকে লুকিয়ে রিয়েল হোমিওপ্যাথি থেকে আনা হাইড্রোফোবিনাম-সিএম এক ডোজ মুখে দেন। রিয়েল হোমিওপ্যাথির অনন্য এই আবিষ্কার সেবনের ২ ঘন্টা পর শিশু কাঁদতে শুরু করে এবং ঠোঁট নাড়াতে থাকে। এসময় শিশুটির খালা নিজের স্তন শিশুর মুখে দিলে শিশু কান্না থামিয়ে স্তন চুষতে থাকে। পরেরদিন শিশুটিকে নিওনেটাল ইনসেন্টিভ কেয়ার থেকে বের করে মায়ের কোলে দেওয়া হয়।

রিয়েল হোমিওপ্যাথির সাফল্যে এমন একটি অবস্থা থেকে উন্নতি করা শিশুটির না মাসুরা। মাসুরা ইতিমধ্যে ১ বছর পার করেছে। এই এক বছরে তার কোনো এ্যালোপ্যাথিক ঔষধের প্রয়োজন হয়নি। দুবার সামান্য সর্দি-জ্বর হয়েছে, তবে রিয়েল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সে ভালো আছে। বর্তমানে সে হাইড্রোফোবিনাম-0/21 ঔষধে চিকিৎসায় আছে।

হোমিওপ্যাথির এই অনন্য পদ্ধতির আবিষ্কারক ড. শ্যামল কুমার দাস বলেন, “রিয়েল হোমিওপ্যাথির অনেক সাফল্যের মধ্যে এটি একটি। আমরা রোগীর সমস্যা সমাধানে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যা আগামীতে চিকিৎসা সেবায় বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবে।”

এই চিকিৎসা পরিচালিত হচ্ছে যশোর সদরের ধর্মতলা মোড়ে অবস্থিত সালেহা প্লাজায় (মুনির খাঁনের মার্কেট) রিয়েল হোমিওপ্যাথি বিডি নামক একটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে। যেখানে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী আজম, যোগাযোগের নম্বর ০১৭৮৭-৩২৬০৮৩। অনলাইনের মাধ্যমেও এখান থেকে চিকিৎসা পরামর্শ ও কুরিয়ারে ঔষধ পাঠানোর বিশেষ ব্যাবস্থা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *