শার্শায় অডিটের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ।

যশোরের শার্শা উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিটের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ প্রতি বছরই বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আয়-ব্যয়ের নিরিক্ষা প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন।

কিন্তু যারা বা যে সমস্ত কর্মকর্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন, তারা ঐ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠানের অফিস প্রধানের মাধ্যমে আয় ব্যয়ের অসংগতির কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য আদায় করে বৈধতা দিয়ে চলে যাচ্ছেন। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উৎকোচ দিতে অপারগতা বা কম দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তাদের অডিট গুলি ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য লিখে থাকেন।

পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শার্শা উপজেলায় ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যশোর সদরে ২টি সহ মোট ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেয়েছেন নিরিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আবু দাউদ।

প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোগা কালিয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পুটখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বুরুজবাগান পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নিজামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেতাই এসিআই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেনাপোল মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা।

অপর ২টি যশোর সদরে অবস্থিত। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বুরুজবাগান পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল আজিজ ৫ই আগষ্টের পর থেকে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় ব্যক্তিগত ভাবে করেছেন।

বিদ্যালয়ের বিবিধ ব্যয় ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে, কোন কোন মাসে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দেখিয়ে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে তোসরুপ করেছেন।

বিগত সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব শাহাবুদ্দীন অবসরে যাওয়ার পর থেকে এভাবেই অফিস সহকারী আব্দুল আজিজ লক্ষ লক্ষ টাকা তোসরুপ করে নিজের পকেটে পুরেছেন।

এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মহীউদ্দীন আলমঙ্গীর যার ইনডেক্স নং ১১৪১১৩১, বাংক হিসাব নং ৩০৭৯০১১১১০০২০৫৩ এবং পে-কোড নং ১১, গত ২৭/১২/২০১৬ তারিখে এনটিআরসির নিয়োগ দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বৈধ্য করে নেয়। প্রকৃতপক্ষে সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দীন আলমঙ্গীর এনটিআরসির বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত নয়।

এ ব্যাপারে উৎকোচ আদায়, অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ, দূর্নীতির বিষয়ে, পরিদর্শক মোঃ আবু দাউদ এর নিকট তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, “প্রতিষ্ঠান অডিটের নামে উৎকোচ আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়। তবে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ক্রটি আছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *