শার্শায় অসহায় মা-মেয়ের সরকারী চাল আত্মসাৎ করতেন, আ.লীগ সভাপতি।

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত এক অসহায় মা ও মেয়ের চাল আত্মসাত করে আসছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদ্য কার্যক্রম স্থগিত হওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য (মেম্বার) লিয়াকত আলী। অবশেষে সোমবার তিনি ধরা খেয়েছেন। স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে শেষমেষ পালিয়েছেনও তিনি।

স্থানীয়রা জানান, মেম্বার লিয়াকত আলী সামটা গ্রামের গোলাম হোসেন গোপালের স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহারের নামে গত দুই বছর আগে ভিজিডি কার্ড করে। ওই কার্ড দেখিয়ে লিয়াকত প্রতিমাসে দুই বস্তা করো চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। যা কারও জানা ছিলো না। গত ছয়মাস ধরে এ চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।

এর মাঝে রোববার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাজেদা ও তার মেয়েকে কল করে চাল নিয়ে যেতে বলেন। এসময় তারা হতবাক হয়ে যান। তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানান ওই চাল তারা আজঅব্দি পাননি। তবে মেম্বরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যান। জানতে পারেন তাদের নামে কার্ড রয়েছে। এক পর্যায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মা ও মেয়ের কাছে ১২ বস্তা চাল বুঝে দেন। তারা ওই চাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন সেই আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত মেম্বার। এক পর্যায় ওই চাল তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি সোমবার সকালে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন লিয়াকতের বাড়ি ঘেরাও করে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশও । তোপের মুখে সটকে পরে আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত। পরে ওই ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেয়া হয় মা ও মেয়েকে।

এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে চাল উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের বুঝিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *