শার্শায় বিদ্যুৎ বিলের কপিতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার স্লোগান, ক্ষোভ গ্রাহকদের!

শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এমন স্লোগান লেখা সংবলিত বিদ্যুৎ বিলের কপি যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার ৪৫ হাজার গ্রাহকের কাছে এখনো পৌঁছে দিচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। নজরে পড়ায় গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তবে এ বিষয়ে বাগআঁচড়া সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা (এজিএম) হুমায়ুন কবির বলেছেন, তাদের কাছে চার কাটুন পুরানো কপি থাকায় গ্রাহকদের কাছে বিলের কপিগুলো পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে অনুরোধ করে বলেন এর পর আর এমন ভুল হবেনা।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত। রাষ্ট্রীয়, বেসরকারি,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে তার নাম মুছে গেলেও মুছে যায়নি যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর শার্শার বাগআঁচড়া সাব-জোনাল অফিস থেকে। শেখ হাসিনার নামের প্রচার এখনও অব্যাহত রয়েছে।এবং গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া ও হচ্ছে।

অথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, যশেোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাব-জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের দেশ নতুন করে স্বাধীন হলে সারাদেশে শেখ হাসিনার নাম, ফলকসহ টাঙানো ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো সরানো হয়নি যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর  বাগআঁচড়া সাব-জোনাল অফিসের বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার স্লোগান। এখনো বিলে শেখ হাসিনার প্রচার বার্তা চালানো হচ্ছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারী মাসের বিলের কাগজেও তা এখনো দৃশ্যমান রয়েছে।

এ নিয়ে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে চলছে ক্ষোভ ও আলোচনা ও সমালোচনা। বিদ্যুৎ গ্রাহক ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনের সাত মাস অতিবাহিত হলেও তার নামসহ স্লোগান বিদ্যুৎ বিলে রয়েছে। যেটা এ জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও হাসিনার নাম প্রচারে ব্যস্ত। এটা কোনো অবস্থায় কাম্য নয়। অচিরেই এটি কর্তৃপক্ষের সংশোধন করা উচিত। এই অফিসের এজিএম সহ যারা আছে তারা স্বৈরাচার হাসিনার সমর্থক গোষ্ঠী হতে পারেন। অথবা দায়িত্বহীনতার কারণে প্রচারণা চালিয়েছেন। একজন স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ এমনটা কেন করছে, যেটি কাম্য নয়। দ্রুত এই অফিসের এজিএম এর বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আব্দুল্লাহ নামে এক গ্রাহক বলেন, দেশের সব স্থান থেকে স্বৈরাচার হাসিনার নাম সরানো হলেও বিদ্যুৎ বিলের কাগজে এখনও তার নাম আছে। একটা সরকারি অফিস কি ভাবে ভুল করে। এটার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আরেক গ্রাহক শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, তিনি বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার নাম দেখে অবাক হয়েছে। দেশে ছেড়ে পালোর ৬/৭ মাসে সব স্থান থেকে তার নাম ছবি সরানো হয়েছে। কিন্তু এখনও বিলের কাগজে তার স্লোগান। এটা কেন সরানো হয়নি। আমরা গ্রাহকরা চাই একজন ফ্যাসিবাদী ছাত্র জনতা হত্যাকারী ব্যক্তির নাম কেন থাকবে।

এ বিষয়ে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা(জিএম) ইন্জিনিয়ারিং হরিনন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, এ স্লোগান সম্বলিত বিলের কপি দেওয়ার কথা না।আমি নতুন কপি পাঠিয়ে দিয়েছি।যদি আগের কপি দিয়ে থাকে তবে ওই সাব জোনাল অফিসের এজিএম এর বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *