যশোরের শার্শায় উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করছেন এ আসনে বিএনপি সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হাসান জহির।
মঙ্গলবার(২৪ জুন) বিকালে নাভারন বিএনপি অফিসে তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে আমরা ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলাম। সেখানে আমি এবং মফিকুল হাসান তৃপ্তি প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলাম। দলের হাইকমান্ড মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছিলেন। দলের সিদ্ধান্তে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলাম এবং ওই নির্বাচনে ভুমিকা পালন করেছিলাম। আমি ২০০৮ সাল থেকে দলের আন্দোলন সংগ্রামে শার্শার বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। এর কারনে বহুবার হামলার স্বীকার হয়েছি, মার খেয়েছি। দলীয় প্রোগ্রামে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আমি সামনে থেকে কর্মিদের আড়াল করেছি, রক্তাক্ত হয়েছি।
আমি গত ১৭ বছরে নাশকতার ৪৬ টা মামলার আসামী হয়েছি বহুবার জেল খেটেছি। তারপর ও নেতাকর্মীদের ফেলে যায়নি। আমি আমার ৪৫ বছর রাজনৈতিক কেরিয়ারে দলের সাথে কখনো বেইমানি করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি শার্শা ও বেনাপোলের মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরো বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনে আমি একজন মনোনয়ন প্রতাশী। যদি দল মনোনয়ন দেন এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে আমি জনগণের সেবা করতে চাই।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন গিয়ে জনগণ কাকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শার্শায় চায় এগুলো তাদের নিউজে তুলে ধরার অনুরোধ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ আলী শাহিন, বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমেদ, নাভারণ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, প্রেসক্লাব বেনাপোলের সহ সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
