জমে উঠেছে দক্ষিণবঙ্গের শার্শার বেলতলা আমের বাজার। এবছর আমের বাম্পার ফলন হওয়াতে যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিভিন্ন জাতের আম, সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পাইকাররা। দক্ষিন-পশ্চিম বঙ্গের বৃহৎ এই আমের পাইকারী বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮/১০ হাজার মন আম দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে হচ্ছে ৷
উপজেলা প্রশাসন গত ৬ই মে গোবিন্দ ভোগ আম ভেঙ্গে বাজারজাত করার অনুমতি দেয়। শনিবার বাগুড়ী বেলতলা আমের পাইকারী বাজারে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দভোগ আমের প্রচুর সমাগম ৷ এছাড়া গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, গোলাপখাস, বৈশাখী সহ অন্যান্য স্থানীয় জাতের আম দেখতে পাওয়া যায়।
আগামী ২১শে মে থেকে হিমসাগর, ২৮শে ল্যাংড়া এবং ৬ই জুন থেকে অম্রপালি ও মল্লিকা বাজারে আসার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বেলতলা আম ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: কামরুজ্জামাঁন বলেন, বাজারে ফরমালিন যুক্ত আম বিক্রির সূযোগ নেই আর অপরিপক্ক আম আসলে তা আচারের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন বিগত স্বৈরাচার শাসকের আমলে গাড়ী প্রতি ৮০০ হইতে ১৪০০ টাকা পর্যান্ত চাঁদা দেওয়া লাগতো। কিন্ত এ বছর চাঁদা দেওয়া না লাগাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাবেচা হচ্ছে।
এ সময় বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মন গোদিন্দ ভোগ ২০০০ হইতে ২২০০ টাকা, বোম্বাই আম ১৮০০ থেকে ২০০০ শরিখাস আম ১৪০০ থেকে ১৬০০ এবং গোলাপ খাস জাতের আম মন প্রতি ১২০০ হইতে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী চাপাই নবাবগন্জ থেকে আম কিনতে আসা পাইকারী ব্যাবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, আমি অনেক বছর যাবৎ এখান থেকে আম কিনে ব্যাবসা করছি৷ কিন্ত এ বছর কোন চাঁদা দেওয়া না লাগাতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাবসা করছি। এভাবে আমরা এখান থেকে আম কিনে নিয়ে যেতে পারি, সে ব্যাপারে সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন।
