পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহম্মেদ মারুফ বলেছেন, বাংলাদেশের দরিদ্র খামারীদের জন্য উন্নত জাতের শাহী ওয়াল গাভীর পাশাপাশি ভেড়া ও ছাগল দিতে আমরা প্রস্তুত। এতে বাংলাদেশের খামারিদের জীবনমান সমৃদ্ধ হবে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার হরিহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রান্তিক খামারীদের এক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ আহম্মেদ মারুফ বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চালিকাশক্তি সাধারণ জনগণ। এদেশের জনগণ যে সমস্যায় ভোগেন ঠিক পাকিস্তানের নাগরিকরাও একই সমস্যা ভোগ করেন। বর্তমানে পাকিস্তান মাংস ও দুধ উৎপাদনে অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের হতদরিদ্র খামারিদের জন্য পাকিস্তান উন্নত জাতের গবাদি পশু দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রস্তাবনা ইসলামাবাদে পাঠানো হলে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত জাতের গবাদিপশু দ্রুত পাঠানো সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এ সময় বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডীন ড. আমিনুল হক, জেলা প্রাণিসস্পদ অফিসার ডা: এ.এস.এম. আতিকুজ্জামান, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ও শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের মুখপাত্র এ্যাড. হুমায়ন বাবর ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।
