সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশন মাঠ প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিবচর শাখার আয়োজনে ছাত্র জনতার গনবিপ্লবে সংঘটিত গনহত্যার বিচারের দাবিতে গণসমাবেশে এ কথা জানান তিনি। ক্ষমতার মসনদে বসে ফারুকীসহ বিতর্কিতদের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে অভিযোগ করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘ফারুকীকে কোন যোগ্যতা ও কোন গুণে উপদেষ্টা করা হলো তা আমার প্রশ্ন। যদি ফারুকীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য না করা হয় তাহলে কর্মসূচি দেয়া হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম আরো বলেন, আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরও বলেছেন, যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে চিহ্নিত একটি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশের শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করছে। তারা এদেশের মানুষের আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘এদেশের মানুষ আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। আর উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশী চাটুকারদের, যারা ইসলাম ও দেশের দুশমন। এদেশের সাধারণ মানুষ সেসব মেনে নেবে না।’ ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তাদের দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন দেখেছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবারও বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আরও বলেন, ‘কেবলমাত্র দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের শান্তি আসতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত ন্যায়, নীতির পরিবর্তন আসবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এদেশে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। ইসলামী শাসন কায়েম হলে দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন। উক্ত গণসমাবেশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফরাজী আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান পীর সাহেব বাহাদুরপুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসেন জাফরী। আরোও উপস্থিত ছিলেন শিবচর ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আকরাম হুসাইন সাহেব, এ বিএম এমদাদুল হক (প্রিন্সিপাল, কাঁঠালবাড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা), ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর বিভাগ সভাপতি, সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এস এম আজিজুল হক, মাওলানা রফিকুল ইসলাম নাসির (মোল্লা মুহতামিম এমদাদুল উলুম কওমী মাদ্রাসা)। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শিবচর উপজেলা শাখা হাফেজ জাফর আহমেদ’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক মল্লিক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আমিনুল ইসলাম, শিবচর উপজেলার শাখা বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ছদর মাওলানা আব্দুস সালাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শিবচর উপজেলা শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ শিবচর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ শিবচর উপজেলা শাখা সভাপতি মোঃ কাজী ইসমাম।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার পদত্যাগে, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি সিনিয়র নায়েবে আমিরের
