
কি? অবাক হচ্ছেন তাই না? যেখানে চারিদিকে খাদ্যের দোকান, সবজির বাজার, মাংসের দোকান, বেকারী সামগ্রী তারই মাঝখানে অবস্থিত দেশি মদের দোকান! অবশ্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে কি লাইসেন্স থাকলেই যেকোন স্থানে মদের দোকান খোলা যাবে? প্রশ্ন এসে যায়। স্থান ঝিকরগাছা, কাঁচাবাজার, যশোর।
সন্ধ্যার পরপরই সেখানে একটি বিশেষ গলিতে ভীড় করে মানুষ দাড়িয়ে থাকে। ঔখানে একটি দোকানের সামনে পর্দা মত করে কাপড় টাঙানো আর তার অন্তরাল থেকে গ্লাসে করে মদ দিচ্ছে বিক্রেতা এবং মদ্যপায়ীদের থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটি হল বয়স! এখানে বয়সের কোন সীমারেখা নেই। আনুৃমানিক ১২ -৬০ বছর বয়সের লোকদেরকে দেখা যাবে সেখানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশেপাশের দোকানদারদের থেকে জানা যায় প্রশাসন সেখানে হস্তক্ষেপ করে না, অথচ মাঝে মাঝে সেখানে মারাত্মক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
অনেক সময় সাধারণ ক্রেতা কেনাকাটা করতে এসে ভুল করে ঐ গলিতে ঢুকে পড়ে, হতে পারে বাচ্চা, নারী, বৃদ্ধ। তাৎক্ষণাৎ তারা বিভ্রান্ত, হেনস্ত, হতচকিত হয়ে পড়ে। গালিগালাজ ও খারাপ আচরণের শিকার হয়।
সাধারণ মানুষের বক্তব্য “১.গন্ধে বাজার করতে আসতে পারি না, বমি এসে যায়। ২. বাচ্চাকাচ্চা সাথে নিয়ে আসলে তো আরোও বিপদ, তারা প্রশ্ন করে বসে সেখানে এতলোক কি খাচ্ছে, আমরাও খেতে চাই বাবা/মা।” লাইসেন্সপ্রাপ্ত হোক আর যা’ই হোক না কেন, দশের কথা হলো, অচিরেই যেন সেখান থেকে মদের দোকানটি অপসারণ করা হয়।
তারা আরোও জানায়, প্রসাশন যেন তার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে বাজারটিকে মাদকের আঁখড়া মুক্ত করে তুলে এবং সুন্দর পরিবেশ গড়ার সুযোগ করে দেয়।
মর্নিংনিউজ/আই/শাশি
