মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব সহ অন্যান্য দেশগুলোতে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আযহা। এসমস্ত দেশের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের মত এবারও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আযহা।
শুক্রবার সকাল ৮টায় উপজেলা শহরের ফুটবল মাঠ এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামায়াতের ইমামতি করেন মাওলানা রেজাউল ইসলাম।
আয়োজকরা জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ২০০৩ সাল থেকে তারা বছরে দুইটি ঈদ জামাতের আয়োজন করে আসছেন। এবারও উপজেলার দখলপুর, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, পারফলসী, পায়রাডাঙ্গা, শৈলকূপার ভাটই বাজার এলাকার শতাধিক মুসল্লিরা এ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদ জামায়াত কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন জানান, আগে ঈদের নামাজের আয়োজন করতে হলে থানায় অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হতো। এখন মোবাইলে জানিয়ে দিই। প্রথম প্রথম ঈদ জামাত করতে একটু ভয়ে থাকতে হতো। এখন আর সেই ভীতি নেই।
ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে আসা সোলাইমান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুন্ডুতে ঈদের জামাত করে আসছি। আগে শুধু হরিণাকুন্ডুতেই ঈদের জামাত হতো। এখন পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দপুর সহ তিনটি জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক কমিটির সভাপতি আ.ন.ম. বজলুর রহমান বলেন, ওআইসি ভুক্ত দেশগুলো সহ বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম উম্মাহ আজকে ঈদুল আযহা উদযাপন করছে। আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাহ অনুযায়ী ঈদ উদযাপন করছি।
ঈদের নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও সমস্ত মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও ঐক্য কামনায় দোয়া করা হয়।
