নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এর সাফল্য ও গৌরবের ০১ বছর

সেবা, সততা, নিষ্ঠা আর আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার হিসেবে এক বছর পার করলেন মো. শহিদুল ইসলাম পিপিএম। জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, সাধারণ মানুষের যানমালের নিরাপত্তা বিধান, করোনা মোকাবেলা ও অসহায় বন্যার্তদের সহযোগিতায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১ বছরেই জয় করেছেন নোয়াখালীবাসীর মন। এই এক বছরে তিনি পুলিশ সম্পর্কে নোয়াখালীবাসীর ধারণাই পাল্টে দিয়েছেন। নিরলস পরিশ্রমী, মেধাবী এই কর্মকর্তার কারণে নোয়াখালীর সাধারণ মানুষ আজ পুলিশকে তাদের রক্ষাকবচ ও বন্ধু ভাবতে শুরু করেছে। তিনি সাধারণ মানুষকে বার্তা দিতে পেরেছেন যে, পুলিশ কোন আতঙ্ক নয়, জনসাধারণের রক্ষাকবচ হিসেবে পুলিশ তাদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে তারা যেন পুলিশের সাহায্য নেয়। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন এই নীতির কারণে তিনি আজ জেলার মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক।

তিনি ২৫-তম বিসিএসে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। নোয়াখালী জেলায় যোগদানের পূর্বে তিনি এআইজি (ইক্যুইপমেন্ট-২), পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের পরিবর্তনের অগ্রনায়ক হিসেবে খ্যাত বর্তমান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম(বার) এর নেতৃত্বে জেলার প্রতিটি থানায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সকল থানার ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই/এএসআইদের মোবাইল নম্বর ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে যাতে মানুষ দ্রুত তাদের সমস্যার কথা পুলিশকে জানাতে পারে। যে কোন প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করার আহবান জানান তিনি।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নোয়াখালী জেলায় যোগদানের পর হতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) এর দিকনির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশের সর্বস্তরের অফিসার ও ফোর্সকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে আসছি। সামনের দিন গুলোতেও আইজিপির নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) এর নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলা পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত, জনবান্ধব করা হবে এবং বিট পুলিশিংয়ের ব্যাপক প্রচারসহ মাদকমুক্ত নোয়াখালী গড়ার পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণের বিষয়ে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *