উচ্ছিষ্ট অলক্ষ্য

লিখে যাওয়া এইসব গল্পেরা শুধু উচ্ছিষ্ট মাত্র শবযাত্রীদের ধ্বনিযূথ শোনার বিকল্প স্বাদ !

একটি বাড়ন্ত সেলাই করা ঝলমলে রাত,

আর রেশমি উলে বোনা জীবন্ত সোয়েটার ।
দূরত্বের মানেটা আর কত দূর !
আলোকবর্ষ তার সন্দীপনে বাঁধা পুরোনো ঘরে;
আর নীরব অপেক্ষায় থাকা প্রহরীগুলো!
এ পথে হারিয়ে যেতে আর কোনো চিহ্ন রাখেনি।
শূন্যতার সাথে রিক্ততা মেলালে,
ত্রিকালে ঠেকেছে-এমন আকাঙ্ক্ষাই যথার্থ।
মুহূর্তেরা নিমিষেই ক্ষয়ে যায় বুকের শহরে,
চির অমৃত লোলুপ দৃষ্টির দাগাঙ্কনে,
এক পায়ে দাঁড়িয়ে সেই ভোরের আলোর শহর!
বেনামী অনাবাদি দামনিকরের বধ্যভূমিতে।
মফস্বলের অলিতে গলিতে সস্তা প্রেমিকের
আয়োজন ও বিভাজনের ক্ষুধার্ত কামড়,
তারপর একদিন সমস্ত ক্ষত শুকালে,
বিজ্ঞাপনের অন্তরালে ঢেকে নিও নিজেকে!
অস্পষ্ট ভারী বুটের শব্দে নড়েচড়ে বসো আর
জোনাকির জ্যোৎস্নায় ভরা তিমিরে
খসখসে জিভ আর থরথর করে কাঁপা ঠোঁটে
আঙ্গুল ছুঁয়ে চাপা স্বরে বলো,
হে মোর প্রিয় শুভ্রতা
গেও স্নেহভরা গানের দুটো বিদগ্ধ লাইন ,
আর শূন্য শব্দে আঁকা শেষ চিরকুট ,
সমিরণ উল্লম্ব গড়িয়ে যাক
ঝাঁঝালো তরলে প্রণোদনা আনুক
রাত্রি জাগরণে জাগ্রত হোক যাত্রা
আর অ্যালকোহলের শেষ পাঠ চুকিয়ে যাক
বোতলে নির্জীব পড়ে থাকা সবাই উচ্ছিষ্ট মাত্র !
আর মাকড়সা দম্পতিদের আনুষঙ্গিক ছদ্মবেশী বুনন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *