আম্ফান-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে উপকূলবাসীর

ছবি: মর্নিং নিউজ বিডি

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলাবাসী।

রাতভর আশ্রয়কেন্দ্র এসেছেন মানুষ। সকাল থেকেও আসছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার গবাদি পশুও নিয়ে এসেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সকাল ৯টা পর্যন্ত সরকারি হিসাবে বাগেরহাটের প্রায় এক লাখ লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। ১৫ হাজার গবাদিপশুকেও আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে রাখা হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ মে) সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে নিদারুণ আতঙ্ক নিয়ে আম্ফান বিদায়ের অপেক্ষায় আছেন উপকূলবাসী। বাগেরহাটের নদ-নদীতে দ্রুতগতিতে পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর মহাবিপদ-সংকেত জারির পর আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুণ।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, রাতে শরণখোলার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র আমরা পরিদর্শন করেছি। আশ্রয় নেওয়া মানুষের খোঁজখবর নিয়েছি। প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় দুর্গত মানুষদের শুকনো খাবার ও সুপেয় পানি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাষের পর থেকে জেলাব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ মে) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় এক লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দুর্গতদের জন্য কাজ করছেন। প্রত্যেক উপজেলায় জরুরি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। জেলা সদর ও ৯টি উপজেলায় মোট ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *