সত্যিই এ আজিব শহরে নষ্ট প্রাণোচ্ছলতা
পিলপিল করে এগিয়ে চলছে লালবাতিগুলো
নিয়ন আলোর মিছিলে অনুজ্জ্বল বর্ণনায়
সবই তো! সেখানে আমি এক পানাসক্ত
নিকোটিনের ধোঁয়ায় চরম জর্জরিত!
বিস্তীর্ণ বাবুর মতো নিপাট এক ভদ্রলোক
ভিতরে জমে থাকা একরাশ ক্রোধানলে।
কি হতে চেয়ে জীবনে কি বা হয়ে গেল
অথবা হয়তো হতে পারা হয়নি কখনো,
তবু নির্বিকার হয়ে বেঁচে থাকার এই মর্মটা
যখনই অন্তর প্রকোষ্ঠে আঘাত হানে
তখনই বেঁচে থাকার অর্থ হারিয়ে যায়।
এই হারিয়ে যেতে চাওয়ার মাঝে নির্মল অনুভবে
কখনো বা কখনো উঁকি দিয়ে জেগে ওঠে
মনে হয়, হয়তো এই বুঝি বেঁচে থাকা হলো!
ঠিক ওভার ব্রিজের উপরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে
আকাশ দেখতে থাকা নির্ঘুম রাত্রির জাগরণে স্তব্ধতা। আর অজানা কারণে মস্তিষ্কে এসে উঁকি দেয়
অতীতের রংবেরঙের পথচলার দিনগুলি।
তবে তুমি কি পেরেছো আপন আলোয় রাঙিয়ে নিতে অতীতের স্বপ্ন গুলোকে ভবিষ্যতের অশ্লীলতায়
টেনে আনতে! নাকি আজও সেই অমলিন
ব্যক্ত ভাষায় কথা বল, নাকি সমস্ত দিনশেষে
অস্তিত্বহীনতার প্রশ্নে নিজেই গুমরে মরো!
পারা হয়ে ওঠেনি জীবনকে জীবনের সাথে টেনে
বয়ে নিয়ে যাওয়া জীবনকে শুধুমাত্রই
আসক্তি নিকোটিনের মৃত্তিকা ঘোষিত আবরণী!
