চিতলমারীতে শত শত হিন্দু মতুয়া ভক্তদের মিলনমেলা-মহোৎসব।

দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন নায়েরী মায়ের স্মৃতিবিজড়িত ভিটায় শত শত হিন্দু মতুয়া ভক্তদের মিলনমেলা-মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা গ্রামে ব্যাপকভাবে এই আয়োজন করা হয়। এখানে শ্রীধাম ওড়াকান্দির মতুয়া সংঘাধিপতি সীমাদেবী ঠাকুরানী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মতুয়া সংঘাধিপতি সীমাদেবী ঠাকুরানী পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মহোৎসব ও মন্দির উদ্বোধন করেন। মতুয়া প্রমথ বাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ওড়াকান্দি হতে আগত শ্রীহরি-গুরুচাঁদ ঠাকুরের বংশধর বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘের সভাপতি দেবব্রত ঠাকুর, মতুয়া মহাসংঘ চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি অলোক কুমার বিশ্বাস, কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. গাউছুল আজম, পূজা উদযাপন ফ্রন্ট চিতলমারী শাখার আহবায়ক অধ্যাপক জওহরলাল সরকার, শিক্ষক সুখময় ঘরামী, লেখক সাধুদাস রায়, শিক্ষক জয়দেব মল্লিক, শ্রীঅশ্বিনী গোসাই সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীবন গাইন, ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক প্রদীপ মন্ডল। অলোচনা শেষে মন্দিরটি পরিচালনার জন্য বিধান গাইনকে সভাপতি ও সুরেশ চন্দ্র মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ঘোষিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সীমাদেবী ঠাকুরানী বলেন, ‘গুরুভক্তির অনন্য উদাহরণ রেখে গেছেন নায়েরী মাতা। আমরা তাঁর ভক্তির বিবরণ পাই ‘শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত’ গ্রন্থে। স্মৃতিবিজড়িত ওই স্থানকে জাগরিত রাখতে ‘শ্রী শ্রীহরি-গুরুচাঁদ নায়েরী মায়ের মন্দির’ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শান্ত-নিরিবিলি এই গ্রামটিতে যাতে আগামীতে নানা ধরণের উন্নয়ন কাজ হয় সেদিকে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার আহবান জানাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *