প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন বছর আগে পুনঃখনন করা হয় মৃতপ্রায় নদী চিত্রা। তবে এখন কচুরিপানাসহ ময়লা-আবর্জনা আটকে আছে নদীতে। বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান চলাচল। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রধান এই নদীতে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অচিরেই সকল ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদ হতে চিতলমারী উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চিত্রা নদীটি মরা অবস্থায় রয়েছে। প্রায় তিন যুগ পর এই নদী ও খাল পুনঃখননে তারা খুশি হয়েছিলেন।
এলাকায় জোয়ার-ভাটার পানিপ্রবাহ শুরু হয়। কিন্তু খননকাজ শেষ হওয়ার পর কাঙ্ক্ষিত উপকার পাওয়া যাচ্ছে না।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপনায় নদী-খালগুলো আটকে আছে। এ ছাড়া অনেকে নদীর সাথে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নর্দমার ড্রেন সংযোগ দেওয়া। ফলে দূষণের শিকার হয়েছে এই নদী।
এ ছাড়া বেশিরভাগ মানুষ তাদের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা ও মৃত পশু-পাখি নদীতে ফেলছে। তারা নিজেরা যেমন সচেতন নন, কেউ তাদের বাধাও দেন না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেট পেলে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন।
জানা যায়, বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৯ সালের শেষের দিকে ৩টি নদী, ৫৫টি খাল পুনঃখনন ও স্লুইচগেটের নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ২৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এই প্রকল্পের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মরা চিত্রা নদী পুনঃখনন হয়।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল জানান, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে খালগুলোর কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ প্রায়ই নেওয়া হয়। আগামীতে যাতে আরো ব্যাপকভাবে কাজটা করা যায় তা দেখা হবে।
