জমজমাট এক ফাইনাল উপহার দিয়ে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে ময়মনসিংহ বিভাগকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন, ২০২৫) অনুষ্ঠিত এই ফাইনাল ম্যাচটি ফুটবলপ্রেমীদের মন কেড়েছে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায়।
ফাইনালে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে রংপুর ও ময়মনসিংহ। ম্যাচের প্রথমার্ধে মোজাম্মেল হকের গোলে এগিয়ে যায় ময়মনসিংহ। বিরতির পর মেহেদী হাসান ব্যবধান দ্বিগুণ করে ময়মনসিংহের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। তবে ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটে দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বদলে দেন রংপুরের অধিনায়ক রিয়াদ। তার জোড়া গোলে অবিশ্বাস্যভাবে সমতায় ফেরে রংপুর। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে স্নায়ুচাপ ধরে রেখে ৪-৩ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় রংপুরের যুবারা, উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা দল। উল্লেখ্য, এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসর, অর্থাৎ ২০১৮ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর বিভাগ।
পুরস্কার বিতরণী ও ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার ভাবনা
ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহবুব-উল-আলম।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, “আমি ফুটবলের এক্সপার্ট না। এটা বাফুফের কাঠামোগত বিষয়। এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কোচের বিষয়ে বাফুফেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে সজীব ভূঁইয়া জানান, “আমাদের সার্চ কমিটি ফেডারেশন পুনর্গঠনে কাজ করেছে। এখন আমরা একটু ভিন্ন ফরম্যাট ও কাঠামোগত সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করব। কমিটি এই সপ্তাহের মধ্যে হবে। এরপর প্রতিবেদন দেবে এক মাসের মধ্যে। kinghorsetoto
ফুটবলার তৈরির বিশাল মঞ্চ:
ক্রীড়া পরিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে ২০২৪ সালের জুন মাসে উপজেলার খেলা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। দেশজুড়ে প্রায় ১,১০,২৬৪ জন খেলোয়াড় এতে অংশ নেয়। উপজেলা পর্যায়ের পর প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যা শেষ হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই জাতীয় আসর থেকে মোট ৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকাকে বাছাই করা হবে। দেশের বাইরে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এই টুর্নামেন্ট দেশের তৃণমূল থেকে ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণে এক বিশাল মঞ্চ তৈরি করেছে।
