মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকারের তালিকা তৈরি করবে সংসদীয় কমিটি

ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকার-আলবদরদের তালিকা তৈরি করতে সংসদীয় কমিটির একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। রাজাকার-আলবদরদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকাটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ওঠায় শেষ পর্যন্ত সেটি স্থগিত করেছে সরকার।

রবিবার (৯ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির ১২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান বলেন, এবার সংসদীয় কমিটি তালিকা তৈরি করবে। এ কাজে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন তাদের আমরা কাজে লাগাবো। তথ্য নেওয়া হবে যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে।

তিনি বলেন, ছয় সদস্যের ওই উপ-কমিটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্য আছেন তাদের কাজে লাগাবে।

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেয়া হয় না। ভিয়েতনামে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত চাকরি দেয়া হয় না। আমরা তো মন্ত্রী পর্যন্ত বানিয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে আজ আলোচনা করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা যেন সরকারি চাকরি না পায় সে বিষয়ে কিছু একটা করা দরকার। সেজন্য রাজাকারদের তালিকাটা দরকার। এই কাজটা এবার আমরা করব।

রাজাকারদের তালিকা তৈরিতে গঠিত উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শাজাহান খান। অন্য সদস্যরা হলেন- সংসদীয় এ কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, এ বি তাজুল ইসলাম, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি লেখার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দ লিখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করবে।

জানা যায়, বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার মোট ২৪টি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), এ বি তাজুল ইসলাম এবং মোসলেম উদ্দিন আহমেদ অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *